আদানি পাওয়ারের ২ ইউনিটেই ফের উৎপাদন শুরু, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ
দুইটি ইউনিট চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে ফের পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে আদানি পাওয়ার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিট দিয়ে উৎপাদনে শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় প্রথম ইউনিট ৫১৩ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট ৬৬৮ দশমিক ৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
জানা যায়, কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রথম ইউনিটের মাধ্যমে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছিল আদানি।
আদানি ঢাকা অফিসের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ দুপুর ১টার দিকে প্রথম ইউনিটের ৫৯৩ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট ৭৬৩ দশমিক ৯৪ মেগাওয়াট উৎপাদন রেকর্ড করা হয়।
দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হওয়ার পর আদানি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড কমিউনিকেশন প্রটোকল বজায় রেখেছিল।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে অপ্রত্যাশিত কারিগরি ত্রুটির জন্য ক্ষমাও চেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে তারা জানায়, 'আদানির মতো দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো সংস্থার বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে পারব।'
অন্যদিকে জানা যায়, ভারতের বিদ্যুৎ আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনী দুই দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আদানি বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ। প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওনা থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি।
আদানি পাওয়ার লিমিটেড (এপিএল) আদানি গ্রুপের একটি অংশ এবং এটি ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদক।
গুজরাটে একটি ৪০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও; গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ হাজার ২১০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।