চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ১৯ ইসকন নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর ইসকন সংগঠনের গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিম্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮)-কে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিএমপি'র কোতোয়ালী থানায় নগরীর চান্দগাঁও থানার উত্তর মোহরা এলাকার বাসিন্দা মো. ফিরোজ খান (৪৯) নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরী।
মামলা নং-৫২ অনুযায়ী, পেনাল কোডের ১২০ খ ধারায় অপরাধ ও ষড়যন্ত্র, ১২৪ ক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ, ১৫৩ ধারায় দাঙ্গার জন্য উত্তেজনা এবং ১০৯ ধারায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন— অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)।
এরমধ্যে গত রাতেই সদরঘাট এলাকা থেকে রাজেশ ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দেশে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নিউ মার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্থাপিত স্তম্ভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের আয়োজনে নগরীর লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ শেষে আসামিরা সুপরিকল্পিতভাবে ওই স্তম্ভে গিয়ে জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, "নিউ মার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।