ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে জটিলতা কমবে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা, জমি নিয়ে বিরোধ, মারামারি ও মামলা কমে আসবে বলে মনে করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
তিনি বলেছেন, সমাজে বড় একটি অংশের মানুষ ভূমি জরিপ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখে না। সে কারণে দিনের পর দিন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে জমি সার্ভে করার ফলে খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে মিলিমিটার পর্যন্ত নির্ভুল মাপজোখ পাওয়া সম্ভব হবে। সমাজ থেকে জমি নিয়ে অস্থিরতা দূর হবে।
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন হাসান আরিফ।
তিনি বলেন, 'আগে জমির খতিয়ান পেতে অনেক সময় লাগত। পাশাপাশি খতিয়ান পেতে অনেক অস্বচ্ছতার মধ্যে পড়তে হতো। এগুলো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এখন আমরা বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান পেয়ে যাবো। জমির খাজনা দেওয়াটাও সহজ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা কল সেন্টার চালু করেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একজন মানুষ যেকোনো অভিযোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং এর প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।