পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ: আকস্মিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত শহর
দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়লেও, আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) আকস্মিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়েছে পুরো জেলা। ঝরছে হালকা কুয়াশা বৃষ্টি।
এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত।
চারিদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট ছিল প্রায় জনশূন্য। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে। ঘন কুয়াশা হলেও কিছু মানুষের চলাচল দেখা গেছে। ভ্যান-অটোসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। ফজরের নামাজের পর পরই মুসল্লীসহ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের হাঁটতে দেখা গেছে রাস্তায়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কাঁথা-কম্বল গায়ে নিতে হচ্ছে। ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকে শীতের দাপট।
ভ্যান চালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, "আজ ঠান্ডা লাগছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাইনা, ভাড়া নাই, তাই বসে আছি।"
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, "হালকা কুাশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।"
পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম খায়ের বলেন, "আজকে আকস্মিক ঘন কুয়াশা ছিল। হালকা শীত লাগছে। ঘন কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে প্রবল শীত চলছে।"
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৬টায় এবং সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কদিন ধরেই এখানকার তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে দিনের বেলা সূর্যের তেজ বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা ক্রমশ আরও কমবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, শীত ও শীতজনিত কারণে বিভিন্ন রোগবালাই শুরু হয়েছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা রোগীদের ভিড় বাড়ছে।