বিসিএস পরীক্ষা: আবেদন ফি, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে অর্ধেক করার প্রস্তাব
বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষার আবেদন ফি এবং মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমিয়ে অর্ধেক করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
আজ (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই প্রস্তাবে ৭০০ টাকার আবেদন ফি অর্ধেক করে ৩৫০ টাকা এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার কথা বলা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়ার সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অনেক চাকরি প্রত্যাশী ৭০০ টাকা আবেদন ফি নিয়ে সমালোচনা করেন। পাশাপাশি ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়েও দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে চাকরীপ্রার্থীদের মধ্যে। প্রায়শই এ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা হতে দেখা গেছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনের সময় আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে আনার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তারসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরের বিসিএসের সার্কুলার জারির ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়গুলোতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিপিএসসি।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশিত হয়। সার্কুলারে মোট ৩ হাজার ৬৮৮টি শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরমধ্যে ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭ এবং নন–ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১।
এই বিসিএসে আবেদনের জন্য ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সবক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়; শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।
এদিকে সিভিল সার্ভিস থেকে 'ক্যাডার' শব্দটি বাদ দিতে সরকারকে সুপারিশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
গতকাল (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কমিশনের সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, 'ক্যাডার' শব্দটি নেতিবাচকভাবে ধরা হয়, তাই কমিশন এটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে।