অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় ভারত, প্রত্যাশা করে গঠনমূলক সম্পর্ক: বিক্রম মিশ্রি
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক নানান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় ভারতের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ বেশকিছু বিষয়ে উদ্বেগও তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক ও দ্বিপাক্ষিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক প্রত্যাশা করেছে।
তিনি বলেন, 'এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ আমরা দেখছি জনমুখী ও জনগণ-কেন্দ্রিক সম্পর্ক তৈরির মধ্যে, এ সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সকল মানুষের কল্যাণ।'
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এফওসি (ফরেন অফিস কনসালটেশন) বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি আজ সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে এটি বিক্রম মিশ্রির প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে আরেক ব্রিফিংয়ে বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক কিছু সম্পত্তির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনের পর থেকে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্বগ্রহণের পর তাঁকে প্রথম শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেছিলেন, ভারত চায় সামনে এগোনোর মতো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
তিনি বলেন, পরে তাঁদের দুজনের মধ্যে (ইউনূস-মোদি) আন্তরিক ফোনালাপ হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে থার্ড ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট' শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন, যা এ বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবরা একে-অন্যের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়, যা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এসব আলোচনার ভিত্তিতে আমার এবারের সফর, যা উভয় পক্ষের মধ্যে বৈদেশিক পর্যায়ের কাঠামোগত একটি আলোচনার প্রথম প্রয়াস।