বঙ্গবন্ধু রেলসেতু এখন থেকে যমুনা রেলসেতু
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম 'বঙ্গবন্ধু রেলসেতু' থেকে পরিবর্তন করে 'যমুনা রেলসেতু' রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন রোববার (২২ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, নতুন নামেই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সেতুটির উদ্বোধন করা হতে পারে।
এর আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সেতুর নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ইঙ্গিত দেন, সেতুর নাম নদীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হতে পারে। এখন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নতুন সেতুটি বর্তমান যমুনা সেতুর ৩০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন হওয়া বর্তমান যমুনা সেতু ঢাকাকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত করেছিল।
আরও পড়ুন: যমুনা নদীর ওপর উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা রেল সেতুর নাম পরিবর্তন হচ্ছে
তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঠামোগত সমস্যার কারণে সেতুতে ট্রেনের গতি সীমিত করে চলাচল করতে হয়েছিল, যা যাত্রীদের জন্য বিলম্ব এবং অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমানে, যমুনা সেতুর একক লাইন রেলপথে ট্রেন চলাচল করছে। ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ট্রেনের গতি আরও কমিয়ে দেওয়া হয়।
এখন একটি ট্রেন পূর্ব স্টেশন থেকে ছাড়লে, অন্য ট্রেনটি পশ্চিম স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন সেতুটি পার হয়। এসব ট্রেনের গতি থাকে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার।
নতুন সেতুটি ডুয়েল-গেজ লাইনসমৃদ্ধ, যা ব্রড-গেজ এবং মিটার-গেজ উভয় ধরনের ট্রেন চলাচলের উপযোগী। এটি চালু হলে প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি শুরুতে নয় হাজার ৭৩৪ কোটি টাকার বাজেটে অনুমোদিত হয়েছিল। পরে প্রকল্প সংশোধন করে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
সেতুর মূল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জাপানের জাইকা সংস্থা দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর বাকি চার হাজার ৬৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হয়েছে।