গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আশার কথা শোনাল পেট্রোবাংলা
দেশে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মাইনস) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে প্রত্যাশা করছি। বন্ধ থাকা একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টা থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য যে এলএনজি টার্মিনালটি গেল ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছে, সেটা থেকে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে বলেও জানিয়েছেন প্রকৌশলী রফিকুল।
তিনি বলেন, দেশের দুটো এলএনজি টার্মিনাল থেকে ১১০০ এমএমসিএফডি সক্ষমতার বিপরীতে ৭৮০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।
এর অর্থ হচ্ছে, সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩২০ এমএমসিএফডি গ্যাসের ঘাটতি আছে এখনও। তবে শিগগিরই গ্যাস সংকটের সুরাহা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার এই কর্মকর্তা।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চলতি জানুয়ারিতে দুটি এলএনজি টার্মিনালের জন্য অন্তত ১০টি কার্গো দরকার। কিন্তু সরবরাহের জন্য এ পর্যন্ত সাতটি কার্গো নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই রাজধানীর বাসিন্দারা গ্যাস সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গত বুধবার থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। কারণ, তখন মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত একটি এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কাজ চলছিল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেট্রোবাংলা জানিয়েছিল, একটি ভাসমান এলএনজি স্টেশনের (এফএসআরইউ) কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১ থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
দেশে বর্তমানে দুটো এফএসআরইউ রয়েছে। যা থেকে দৈনিক এক হাজার থেকে ১১শ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়। দেশে বর্তমানে মোট গ্যাস উৎপাদন ২ হাজার ৯০০ এমএমসিএফডি।