রাশিয়া-ইউক্রেন গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ হওয়ার পর বাড়তে পারে এশিয়ার এলএনজির দাম
রাশিয়া থেকে ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা ও বিকল্প জ্বালানির দাম বাড়তে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার টেলিগ্রামে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশ থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে পণ্যটির দাম কিছুটা সহনশীল থাকতে পারে বলে তিনি আশা করছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর ইউরোপে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। এর জেরে ফলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যায়।
হাইটং ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডার্লিং বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ টিভিতে বলেন, 'এটা এলএনজি বাজারকে আরও সংকুচিত করে তুলবে। আমরা মনে করি, চলতি বছর এবং সম্ভবত আগামী বছরও সরবরাহ সংকট অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে এলএনজির ক্ষেত্রে সরবরাহ সীমিত হওয়ার এবং স্পট এলএনজির দামে আরও ঊর্ধ্বগতি দেখার ঝুঁকি রয়েছে।;
রাশিয়া থেকে ইউক্রেন দিয়ে ইউরোপে গ্যাস প্রবাহ বুধবার বন্ধ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহ চ্যানেলের সমাপ্তি ঘটল।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত থাকলেও ইউরোপকে প্রায় ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহের জন্য বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে এবং সম্ভবত গ্যাস মজুতের ওপর আরও নির্ভরশীল হতে হবে। তবে ইউরোপের গ্যাসের মজুত ইতিমধ্যে মৌসুমের গড় পরিমাণের নিচে নেমে এসেছে।
এদিকে সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কায় গ্যাসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের শেষে ইউরোপের গ্যাসের বেঞ্চমার্ক মূল্য ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো যে ব্যয়বহুল এলএনজির ওপর নির্ভরশীল, সেই বাজারে এখনও এই মূল্যবৃদ্ধির সম্পূর্ণ প্রভাব পড়েনি।