চোরাচালান ঠেকাতে বেনাপোল বন্দরে বসালো অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন
চোরাচালান ঠেকাতে যশোরের বেনাপোল বন্দরের কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের পর আগামী মাসের প্রথম দিকে এর চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব বলেন, "স্ক্যানার স্থাপনের ফলে বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে এবং পণ্য আমদানি হবে দ্রুত। আমরা আশা করছি, এটি জানুয়ারিতে পুরোপুরি চালু হবে।"
অত্যাধুনিক এই স্ক্যানার পণ্যবাহী ট্রাকে লুকিয়ে রাখা যেকোনো ধাতব পদার্থ বা অবৈধ পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি যেমন কমবে, তেমনি বাণিজ্য নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থলপথে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার ইতোমধ্যে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শূন্যরেখায় কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল স্থাপন করেছে। তবে বন্দরে স্ক্যানিং কার্যক্রম না থাকায় চোরাকারবারীদের কারণে এ পথ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। স্বর্ণ, মাদকসহ অবৈধ পণ্য ভারত অংশে আটক হলেও স্ক্যানিং মেশিনের অভাবে এপারের নিরাপত্তাকর্মীরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা ফেরাতে কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে স্ক্যানিং মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অর্থায়নে কেনা অত্যাধুনিক স্ক্যানার ৬টি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষপ্রান্তে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হতে পারে স্ক্যানিংয়ের কার্যক্রম। সীমান্ত অতিক্রমের সময় সন্দেহভাজন পণ্যবাহী ট্রাক এ স্ক্যানারে তোলা হবে। ফলে ট্রাকটিতে ঘোষণার অতিরিক্ত কোনো পণ্য বা লুকিয়ে রাখা যেকোনো ধাতব পদার্থ থাকলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, "ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন চালু হচ্ছে। তাতে বাণিজ্য নিরাপত্তা বাড়বে।"