জামায়াত মুনাফেকি ছাড়া আর কিছুই করেনি: রিজভী
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/rizvi_on_jamaat_munafik.jpg)
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএনপি জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন করেনি। 'বিএনপি সরকারের উদারতার কারণে তারা দেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। শেখ মুজিবের সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। বিএনপির শাসনামলে তারা রাজনীতিতে ফেরে।'
'তবে এই দলের একটি চরিত্র আছে, সেটা হলো মুনাফেকি। একমাত্র মুনাফেকি ছাড়া এই দল আর কিছু করেনি,' বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বলেন তিনি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপি অধ্যাপক ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, 'আমরা একসাথে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে, হাসিনাও প্রথম দিকে ছিলেন, তারপরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে চলে গিয়েছিলেন। বেগম জিয়া এরশাদের অধীনে যাননি। অথচ জামায়াতও হাসিনার সাথে সেই নির্বাচনে গিয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, "এই ছাত্র-জনতার রক্তঝরা আন্দোলন — যে আন্দোলনে আবু সাঈদ, মুগ্ধের মতো শতসহস্র যুবক আত্মদান করেছেন — শেখ হাসিনার মতো ভয়ংকর দানবকে যখন দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল, তার কয়েক দিন পর জামায়াত বলে বসল, 'আমরা আওয়ামী লীগের সব কিছু মাফ করে দেব।' তাহলে আবু সাঈদের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? মুগ্ধের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন? আহনাফের রক্ত কীভাবে মাফ করবেন?"
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'ভারত — যে এক ভয়ংকর উদ্দেশ্য নিয়ে হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, এখনো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে — যদি সেই ভারত জামায়াতের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে যায়, তাহলে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, অত্যন্ত দুঃখজনক।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'শেখ হাসিনা ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শুধু টাকা মারার জন্য পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল করেছেন শেখ হাসিনা। আদানীর কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার পিছনে ছিলো শেখ হাসিনার উৎকোচ নীতি।'
রিজভী বলেন, 'ভারত যা কিছু চেয়েছে, সবই দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধতার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছেন।'
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, তাহেরপুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সামসুর রহমান মিন্টু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।