কক্সবাজারে পর্যটক 'ধর্ষণ': 'জীবন বাঁচাতে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি'
কক্সবাজারে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর 'জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দিও দিতে হয়েছে' বলে দাবি করেছেন ওই নারীর স্বামী।
আজ সোমবার রাতে ওই নারীর স্বামী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মুঠোফোনে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, 'কক্সবাজারে ঝুঁকিতে ছিলাম, এখন ঢাকায় নিজ নিরাপত্তায় আছি। আগামীকাল গণমাধ্যমে ওই দিনের সব কিছু জানাবো। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে।'
তিনি জানান, থানার দায়ের করা মামলাতেই প্রকৃত ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে। ৯৯৯ এ একবার নয়, তিন দফায় তিনি দিলেও সহযোগিতা পাননি। পরে তিনি র্যাবকে কল দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক, মো. বাবু, ইসরাফিল হুদা ওরফে জয়, রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন এবং অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এতে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও ৮ মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নামেন ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জের ধরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে ঝুপড়ির একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর একটি হোটেলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন।
গতকাল রাতে মাদারীপুর থেকে মামলার প্রধান আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে গ্রেফতার তিন জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন, রেজাউল করিম, মামুনুর রশিদ ও মেহেদী হাসান।