দেশের সর্ববৃহৎ রান্নার হাঁড়ি এখন বিদ্যানন্দে!
২০ বছর আগে, ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা বছরে একবার দরিদ্র মানুষকে খাওয়ানোর জন্য একটি বৃহদাকার রান্নার হাঁড়ি তৈরি করেন। জানামতে এটি দেশের সবচেয়ে বড় হাঁড়ি। এবার সেই হাঁড়িটি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে দান করলেন ওই ব্যক্তির পরিবার।
২০২০ এ কোভিড -১৯ সংক্রমণে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা হাঁড়িটি এমন কাউকে দান করার সিদ্ধান্ত নেয় যারা তার মতোই দাতব্য কাজ চালিয়ে যেতে, বা অভাবী লোকদের খাওয়াতে আগ্রহী।
অবশেষ তারা বেছে নেয় দেশের গরীবদের সাহায্য করার জন্য বিখ্যাত সমাজকল্যাণ সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ১১ নভেম্বর হাঁড়িটি পায় তারা।
১২ ফুট ৬ ইঞ্চির পাত্রটি প্রায় ১০ হাজার লোকের জন্য রান্নার ব্যবস্থা করতে সক্ষম বলে অনুমান করা হয়। তবে, প্রতিটি প্ল্যাটারে খাবারের পরিমাণ হতে হবে ৩০০ গ্রাম।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যোগাযোগের প্রধান সালমান খান ইয়াসিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন প্রয়াত মানব-কল্যাণকারীর কাজে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং তার কাজের উত্তরাধিকারি হতে চায়।"
এই অলাভজনক সংস্থাটি ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে আসছে। ঢাকা এবং কেরানীগঞ্জে তাদের রান্নাঘরের জন্য দুটি বিশাল হাঁড়ি তৈরি করেছে তারা। সেগুলোর একেকটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লোকের খাবার রান্না করা যায়।
"আমরা কুড়িগ্রামে আমাদের রান্নাঘরে এই হাঁড়িটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এই জেলা এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বার্ষিক বন্যার প্রবণতা রয়েছে। তাছাড়া সেই রান্নাঘর থেকে আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় ঈদ-উল-আযহা ভিত্তিক অনুদান পরিচালনা করি," বলেন সালমান খান।
বেশি পরিমাণে খাবার রান্নার প্রয়োজন পড়লে হাঁড়িটি ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
"ইনস্টলেশন শেষ হওয়ার পরপরই বিদ্যানন্দের কুড়িগ্রাম রান্নাঘরে হাঁড়িটি ব্যবহার করা শুরু হবে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে," যোগ করেন তিনি।