কুবির রেজিস্ট্রার দপ্তরে দুইদিন ধরে তালা
কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব প্রদান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বর্তমান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে। দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সারাদিনই তালাবদ্ধ ছিল রেজিস্ট্রার কার্যালয়, এতে থমকে ছিল প্রশাসনিক কার্যক্রম।
তবে কর্মকর্তা- কর্মচারী কোনো পক্ষই তালা দেওয়ার দায় নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছে তারা।
তালা দেওয়ার বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল লতিফ বলেন, "তালা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। কে বা কারা তালা দিয়েছে আমি জানি না।"
এদিকে ৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি দ্বিপক চন্দ্র মজুমদার দাবি করেন, "অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আমরা তালা দিয়েছি। দাবি দাওয়া পূরণ হলে আমরা তালা খুলে দেব।"
তবে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের। "কিছু বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে তালা দিয়েছে," বলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, "কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি জানিয়েছেন, তাদের সংগঠন থেকে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত তারাই তালাই মেরেছে। গতকাল রেজিস্ট্রার মহোদয় অফিস করেছে, আমরাও আমাদের কাজ করেছি।"
"রাতের আঁধারে কে বা কারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আমারা এখনো নিশ্চিত নয়। যারা তালা মেরেছে আগামী রোববারের মধ্যে তারা তালা না খুলে দিলে, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো," বলেন তিনি।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, "তালা কে মেরেছে তারা তা স্বীকার করছে না। আবার তাদের দাবিগুলোও তারা বলতে পারছে না। এটা তো হতে পারে না। তাদের দাবি উপাচার্যের কাছে। তাহলে তারা রেজিস্ট্রার দপ্তরে কেন তালা মেরেছে তা বোধগম্য নয়।"
উল্লেখ্য, বুধবার রেজিস্ট্রার পদে কর্মকর্তা হতে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে উপাচার্য বরাবর লিখিত স্মারক লিপি নিয়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। এসময় তারা কয়েক ঘণ্টাব্যাপী রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অবস্থান করে হট্টগোল করে।
এসময় কর্মকর্তা- কর্মচারীরা শিক্ষকদের নিয়ে রেজিস্ট্রার অশোভন- অশালীন শব্দ চয়ন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে রেজিস্ট্রার কার্যালয় হতে বের হয়ে যাওয়ার পর রাত ৮টার দিকে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের একটি অংশ রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।