দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
ট্রাকচাপায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
১০টি দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সবগুলো দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায় প্রশাসন। প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় বসেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নিহত শিক্ষার্থী হিমেলের পরিবারকে নূন্যতম ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খরচ বহন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা, হিমেলের নামে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা, নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের রাস্তার নাম হিমেলের নামে করা, রাস্তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিন গেটের কাছে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ, বোটানিক্যাল গার্ডেনের রাস্তা ছাত্রীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবন দুর্ঘটনায় হিমেলের ক্ষতিগ্রস্ত বাইকের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
আলোচনা সভায় উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, 'শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি হিমেলের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কেননা এটি নানা প্রসেসের মাধ্যমে যেতে হয়। আমরা তার পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছি। তার মাকে মাসিক বড় ধরনের একটি নগদ অর্থ প্রদান করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সব দাবি আমরা পূরণ করার অঙ্গীকার করছি। হিমেলের নামে রাস্তা হবে, ভবন হবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির সঙ্গে বসে যা যা করা দরকার, করব। ট্রাক মালিক ও ঠিকাদারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ আদায় করব। ট্রাকচালক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনের পাশে ট্রাকচাপায় নিহত হন শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেল। এ ঘটনায় রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ট্রাকে আগুন দেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।