জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হলো ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
সারা দেশে কোভিড -১৯ এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য জনসাধারণের চলাচল এবং জমায়েতের উপর চলমান নিষেধাজ্ঞা দুই সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা একটি গেজেট প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ১০ জানুয়ারি থেকে জনসাধারণের চলাচলের উপর দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
নতুন কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞাগুলো হলো:
- কোনো স্থানে ১০০ জনের বেশি জমায়েত হতে পারবে না, টিকাপ্রাপ্তদেরকে কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ রিপোর্টযুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ জনসমাবেশে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে।
- দোকান, শপিং মল, বাজার, হোটেল এবং রেস্তোরাঁসহ সর্বত্র মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- অফিস-আদালতসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা লঙ্ঘন রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
- রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য কোভিড-১৯ টিকার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল, কলেজ এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত ক্লাস বন্ধ থাকবে।
- স্থলবন্দর, বিমানবন্দর এবং সামুদ্রিক বন্দরসহ সকল বন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। জাহাজের ক্রু সদস্যদের বন্দরে আসার পর বাইরে যাওয়া রোধ করতে হবে। শুধুমাত্র ট্রাক চালকদের ট্রাকসহ স্থল বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া, বিদেশগামী যাত্রীদের সাথে দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া রোধ করতে হবে।
- বাস, ট্রেন এবং লঞ্চসহ পাবলিক যানবাহন ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। তবে, চালক এবং হেল্পারদের কোভিড -১৯ টিকার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের টিকার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে এবং পৌঁছানোর পর দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
- জুম্মার নামাজে 'খুৎবা'র সময় ইমামরা সকল মসজিদে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা এবং মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং ইউএনওরা তা নিশ্চিত করবেন।
- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় টিকা নিশ্চিত করতে এবং বুস্টার ডোজ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। তাদের প্রচারে সহায়তা করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
- যে কোনো স্থানে কোনো বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতে পারে।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম ভাইরাস ধরা পড়ে এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়।
বর্তমান মহামারি চিত্র
বাংলাদেশ বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ১৯৩টি নতুন সংক্রমণ রেকর্ড করেছে।
ডিজিএইচএস অনুসারে, ৪৪ হাজার ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে বর্তমান করোনা সংক্রমণ হার দাঁড়িয়েছে ২৭.৪৩ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ২৮ হাজার ৪৬১ জন।