সাবেক বাংলাদেশি কূটনীতিক খায়রুজ্জামানকে মুক্তি দিল মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। গত সপ্তাহে তাকে আটক করেছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত। তিনি বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পেয়ে বিষয়টি তাঁর স্ত্রী রিটা রহমানকে ফোন করে নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম- ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
রিটা রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, "সে (খায়রুজ্জামান) আমাকে বলেছে আইনজীবীরা তাকে ডিটেনশন সেন্টারে রিসিভ করতে যান এবং এখন বাড়ি নিয়ে আসছেন।"
"ওর মুক্তির ব্যাপারে যারা সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ।"
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এনগেউ চো ইং জানান, বিনাশর্তে তার মক্কেলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
খায়রুজ্জামান তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, মুক্তির খবর জেনে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি তার আইনজীবী, মালয়েশিয়ার আদালত ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের মিথ্যে অভিযোগের পর বন্দী হয়ে আমি অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। আমার পরিবারের সদস্যরাও উৎকণ্ঠায় ভুগছে। তারা আমার স্বাস্থ্য নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করছে।"
পাবলিক ডোমেইনে থাকা কোনো সরকারি রেকর্ড বা নথিতে তাঁর কোনোপ্রকার বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ নেই বলেও উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর কার্ডধারী ৬৫ বছরের খায়রুজ্জামান ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে তাঁর কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২০০৭ সালে এম খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার (রাষ্ট্রদূত) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে তাকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, তিনি ফিরে আসতে অসম্মতি জানান এবং তখন থেকেই মালয়েশিয়ায় নির্বাসনে রয়েছেন।