বাগযুদ্ধে মোমেন-জয়শঙ্কর!
৫৮তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন প্যানেলকে প্রশ্ন করেন:
ভারত লাইন অফ ক্রেডিট অফার করার পাশাপাশি জাপানও অবকাঠামোগত অর্থায়নে সহায়তা করলেও, তাদের থেকে আগত ঋণের পরিমাণ কমছে।
এ অবস্থায় বর্তমানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে চীন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথেসাথে অবকাঠামোর চাহিদাও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঠিক কী করা উচিত তা নির্ধারণ করা কঠিন ছিল।
আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে আমাদের আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। কিন্তু এতে করে জটিল কিছু শর্তের জালে আটকা পড়তে হয় আমাদের। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা হলো বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবি। এছাড়াও, আমরা অন্যদের কাছ থেকে কিছু অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা করছি কারণ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। এর কোনো সহজ উপায় আছে কি?"
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন:
আমরা নিজেদের অঞ্চলের বেশ কিছু দেশসহ অন্যান্য অনেক দেশকে বড় অঙ্কের ঋণে জর্জরিত হতে দেখেছি। এমন অনেক প্রকল্পও আমরা দেখেছি যা বাণিজ্যিকভাবে টেকসই নয়; এমন বিমানবন্দর যেখানে কোনো বিমান আসে না, এমন বন্দর যেখানে জাহাজ আসে না।
যেসব দেশ ঋণ চাইছে তাদের ফাঁকা পড়ে থাকা বিমানবন্দর এবং বন্দরের মতো অবকাঠামোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
স্পষ্টতই এটি সংশ্লিষ্ট ভোক্তা দেশের স্বার্থেই করতে হবে। তবে এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের সাথেও জড়িত। এ ধরনের প্রকল্পের কাজ শুধু নির্মাণের মাধ্যমেই শেষ হয়না। বরং এই ঋণ পরবর্তীতে ইক্যুইটি বা অন্য কিছুতে পরিণত হয়।