পাকিস্তান-এর ট্রাভেল স্টার্টআপ ‘ফাইন্ড মাই এডভেঞ্চার’ অধিগ্রহণ করল গোযায়ান
বাংলাদেশের কোন ট্রাভেল-টেক কোম্পানি হিসেবে দেশের বাইরের কোন কোম্পানি অধিগ্রহণ করার ঘটনা এই প্রথম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ক্রমবর্ধনশীল স্টার্টআপ প্রযুক্তি ভিত্তিক কোম্পানি 'গোযায়ান' এবার পাকিস্তান-এ তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে গোযায়ান যাত্রা শুরু করে। প্রথমে ফ্লাইট বুকিং সার্ভিস দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে হোটেল, বাস এবং ট্যুর বুকিং সার্ভিসের সমন্বয়ে ভ্রমণপিপাশুদের একটি পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বিগত বছরে করোনা মহামারির প্রকোপের মাঝেও কোম্পানিটি এর ব্যাবসা কয়েকগুণ বড় করতে সক্ষম হয়।
গোযায়ান-এর এই সম্প্রসারণের পেছনে বিনিয়োগ করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডি এস টি গ্লোবাল। এর সাথে আরও যোগ দেয় নরডস্টার পার্টনারস এবং "পেব্যাক" এর প্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার রিটওয়েগার। গত বছর কোম্পানিটি প্রায় ২২ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পায়। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল ওয়েভমেকার পার্টনারস, ১৯৮২ ভেঞ্চারস, ইটারেটিভ, সেঞ্চুরি ওক ক্যাপিটাল ইত্যাদি বৃহৎ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে গোযায়ান-এ বিনিয়োগ করে ব্র্যাক ওসাইরিস ইমপ্যাক্ট ভেঞ্চারস।
গোযায়ান শুরু থেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে পর্যটন খাতের সমস্যা সমাধানের পেছনে কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান-এ সম্প্রসারণের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে দুটি দেশের মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ভ্রমন বুকিং এর ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য। তাই এই অধিগ্রহণ দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটনখাতের পরিবর্তনের বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
গোযায়ান এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিদওয়ান হাফিজ বলেন, "শুধুমাত্র দেশীয় কোম্পানি নয়, আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে এবং এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই অধিগ্রহণ এর ফলে আমাদের সামনে একটি অনেক বড় বাজার উন্মুক্ত হয়েছে যা পুরো বিশ্বের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশের সমান। যে স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তার বাস্তবায়নের শুরুটা হচ্ছে এখন।"
প্রযুক্তির সাহায্যে ভ্রমণকে আরও সহজ করে তুলতে গোযায়ান প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান-এর ট্রাভেল কোম্পানি অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটনখাতে কোম্পানিটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।