মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিপু হত্যাকান্ড: র্যাব
২০১৩ সালে গুলশানে মিল্কী হত্যাকান্ডের মামলা থেকে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু অব্যাহতি পাওয়ায় প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে, জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও আছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), নাছির উদ্দিন (৩৮) ও মোরশেদুল আলম (৫১)। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হত্যাকান্ডের সাথে টিপুর সম্পৃক্ততা রয়েছে সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুক, পলাশসহ একটি পক্ষ মানববদ্ধন, আলোচনা সভা, পোস্টার লাগানো ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া বাদীর মাধ্যমে চার্জশিটের নারাজী প্রদানের মাধ্যমে চেষ্টা চালায়। তবুও জাহিদুল ইসলাম টিপু মামলা হতে অব্যাহতি পায়।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালে গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুক ও অন্যান্য সহযোগীরা স্বার্থগত দ্বন্দের কারণে টিপুর অন্যতম সহযোগী রিজভী হাসানকে হত্যা করে। এরপর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে রিজভী হাসান হত্যাকান্ডের বিচার কার্য শুরু হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বয়ানে র্যাব জানিয়েছে, তাদের ধারণা প্রতিপক্ষ টিপুর কারণেই রিজভী হাসান হত্যাকান্ডটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদী রিজভী হাসান বাবুর পিতা আবুল কালামের সাথে গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুক ও তার সহযোগীরা ৫০ লক্ষ টাকায় দফারফা করার চেষ্টা করে। তবুও জাহিদুল ইসলাম টিপুর কারণে কালাম মীমাংসায় আসেনি।
তারা এক পর্যায়ে কালামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু জাহিদুল ইসলাম টিপুর সাথে চলাচল করার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তারপর কালামের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাতে মামলা পরিচালনা ধীরগতি করা যায়। তাদের ধারণা বাদী কালাম একা মামলাটি পরিচালনা করতে পারবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩ মাস আগে সাক্ষ্য শেষে আদালত চত্ত্বর এলাকায় হত্যাকান্ড সংগঠনের প্রাথমিক আলোচনা করে।