জাপানি কোম্পানির সাথে মিটার অ্যাসেম্বলিং কারখানা বানাবে তিতাস
প্রি-পেইড মিটার স্থাপন এবং মিটার আমদানি খরচ কমাতে দুটি জাপানি কোম্পানির সাথে একত্রে একটি নতুন গ্যাস মিটার অ্যাসেম্বলিং কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
জাপানের দুটি কোম্পানির একটি ওনোডা ইঙ্কের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পরিকল্পনা ও প্রস্তাব অনুযায়ী, কারখানাটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে।
এ উদ্যোগে কোম্পানি তিনটির সমান শেয়ার থাকবে বলে জানান তারা।
প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে, বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (বিপিইএমসি) পর এটি হবে দেশের তৃতীয় মিটার অ্যাসেম্বলিং কারখানা। আগের দুটি কারখানাতে বৈদ্যুতিক মিটার অ্যাসেম্বল করা হয়।
ওনোডা ইঙ্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হোসেন আহমদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, প্রস্তাবটি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে জমা দিয়েছেন তারা।
"তবে, কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ও কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে সে সিদ্ধান্ত পরবর্তী বৈঠকে নেওয়া হবে," বলেন তিনি।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, ভবিষ্যতে তাদের প্রচুর মিটারের প্রয়োজন হবে বিধায় তারা একটি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, "মিটারের আমদানি খরচ কমানোর পাশাপাশি, একটি কারখানা আমাদের মিতার স্থাপনের পরবর্তী মিটার পরিষেবা দিতেও সহায়তা করবে।"
ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিতরণ অঞ্চলে ২৮.৭৪ লাখ গ্রাহক আছে তিতাস গ্যাসের, এরমধ্যে ২৮.৫৬ লাখই গৃহস্থালী গ্রাহক।
গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করতে জ্বালানি নিয়ন্ত্রক কমিশন এবং ভোক্তা অধিকার সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশ কয়েকবার নির্দেশনার পরও, এ উদ্যোগ নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনের তথ্য বলছে, প্রি-পেইড মিটার পোস্ট-পেইডের চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী। কিছু ক্ষেত্রে, পোস্ট-পেইডে প্রিপেইডের তুলনায় প্রায় দুই গুণ বেশি খরচ হয়।
কিন্তু, গত সাত বছরে, এখন পর্যন্ত গৃহস্থালী গ্রাহকদের মধ্যে মাত্র ৩.২০ লাখ গ্রাহককে পোস্ট-পেইড বদলে প্রি-পেইড মিটার সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তিতাস গ্যাস।
অনেক গ্রাহক বলছেন, কম গ্যাস সরবরাহ করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য তিতাস ইচ্ছাকৃতভাবে প্রি-পেইড মিটার পরিষেবা সম্প্রসারণে ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, গ্রাহকরা ফ্ল্যাট রেট পোস্ট-পেইড পরিষেবা থেকে প্রি-পেইড মিটারে যাওয়ার পর গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে দেয়, ফলে জ্বালানি নষ্ট হয় না।