সিন্ডিকেট নিয়ে আপত্তির মুখে থমকে আছে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি
বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কঠোর বাধার মুখে দুইদেশের শ্রম চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ৫ মাস পরেও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টিতে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।
ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, তারা মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদিত মাত্র ২৫টি কোম্পানির একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জোট গঠন করেছে।
সিন্ডিকেট বিরোধী জোটের মুখপাত্র শামীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়া এবং ঢাকার দুইজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি কেবল ওই ২৫টি নির্দিষ্ট সংস্থাকেই যেন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সিন্ডিকেট বিরোধী জোট। সেখানে নিজেদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তারা বলেছেন, জোটের সকল ১ হাজার ৫৩০ সদস্যকেই মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক।
"স্থানীয় প্রতিযোগিতা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং যেকোনো ধরনের একচেটিয়া অধিকারকে অস্বীকার করে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে অবশ্যই বাংলাদেশের সকল আইনি সংস্থার জন্য উন্মুক্ত হতে হবে", যোগ করেন তিনি।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে শামীন আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, "এমনকি এটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনেরও পরিপন্থী; সমস্ত সংস্থাকে শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া উচিত। আমরা এই অবস্থানে ঐক্যবদ্ধ এবং আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকার আমাদের দাবির সঙ্গেই রয়েছে।"
বাংলাদেশ সরকারকে মালয়েশিয়া বলেছে, ২৫টি নিয়োগ সংস্থার প্রতিটিকেই কর্মী আনার জন্য আরও ১০ জন করে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে, এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। কারণ এটি একচেটিয়া ক্ষমতা কায়েম করবে বলে দাবি করেন শামীন আহমেদ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, মাত্র ২৫টি সংস্থাকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে রাজি নয় সরকার।
শামীন বলেন, ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগ দিলেও রিক্রুটিং এজেন্সিকে সীমিত করার এই প্রথা কেবল বাংলাদেশের জন্যই প্রযোজ্য।
রিক্রুটিং এজেন্সিকে সীমিত করার এই সিদ্ধান্ত আবারও সেই পুরনো 'দুর্নীতিগ্রস্ত' অনুশীলনের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মূলত এ ধরনের দুর্নীতির কারণেই ২০১৮ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধে বাধ্য হয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার।
এ বিষয়ে আগামী ২৫ মে দুইদেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
- সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে