রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষকের বেতন ও পদোন্নতি স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযোগের আংশিক সত্যতা পাওয়ায় তার বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে অনুষ্ঠিত ৫১৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানী ও উত্যক্তের আংশিক সত্যতা পেয়েছে তারা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার চার বছরের বেতন বৃদ্ধি ও চার বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত করেছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে পুনরায় তা রিভিউ কমিটি তদন্ত করে দেখে। সেই তদন্তেও কমিটি যৌন হয়রানি ও উত্যক্তের আংশিক সত্যতা পেয়েছে। ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চার বছরের জন্য তার ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লিখিতভাবে তাকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত বছরের ২৫ ও ২৭ জুন দুই ছাত্রী ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর নামে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করেন। এরপর ইনস্টিটিউটের পরিচালককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
গত বছরেরই ২৮ জুন ওই দুই ছাত্রী নিরাপত্তা চেয়ে মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তদন্ত কমিটি অভিযোগের আংশিক সত্যতা পায়। ৩ জুলাই ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত উপাচার্যের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়ে এখনো আমার দপ্তরে আসেনি। দপ্তরে চিঠি না আসায় এখনো আমি বলতে পারছি না কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চিঠি আসার পরই আমি বলতে পারব সিন্ডিকেটের সভায় তার বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আমার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।