রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার শুনানি ১৮ সেপ্টেম্বর
আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার শুনানি হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
এর আগে গতকাল (১৩ জুন) ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
উখিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আল আমিনম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানান, স্বাভাবিক নিয়মে মামলার ধার্য দিনে আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করা হয়। তবে যেহেতু মামলার অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল হয়ে গেছে বিচারক চাইলে তার আগেও অভিযোগপত্র গ্রহন শুনানি করতে পারেন। এটা আদালতের বিচারকের উপর নির্ভর করে।
সোমবার সকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আকতার জাবেদের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন। এতে ২৯ জনকে অভিযুক্ত ও ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে বাকিদের নাম বাদ দিয়ে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় এ পর্যন্ত আটক হয়েছে ১৫ জন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মূলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায়, ক্যাম্পের ভেতর অনিয়ম ও অপরাধ নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় এবং শিবিরে জনপ্রিয় হয়ে উঠার কারণে রোহিঙ্গাদেরই একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।