পি কে হালদারসহ ৬ জন আরও ১৪ দিনের কারা হেফাজতে
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ৬ জনকে আরও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা নগর আদালতের বিশেষ আদালতের বিচারক জীবনকুমার সাধু এ নির্দেশ দেন।
১৪ দিনের কারা হেফাজতের পর প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে আগামী ৫ জুলাই আদালতে পেশ করা হবে।
এর আগে গত ৭ জুন পিকে হালদারসহ ৬ জনকে ১৪ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আজ তাদেরকে আদালতে তোলা হয়।
আদালতের আজকের নির্দেশে আরও ১৪ দিনের কারা হেফাজতে থাকবেন তারা।
হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা পিকে হালদারকে গত ১৪ মে কলকাতায় গ্রেপ্তার করা হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সেদিন পিকে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এরপর তাদের তিন দফায় মোট ২৫ দিনের রিমান্ডে নেয় ইডি।
দুদকের তথ্যমতে, পিকে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলাকালে তারা এখন পর্যন্ত এ পরিমাণ অর্থ প্রতারণার কথা জানতে পেরেছেন, যার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।
পিকে হালদার আইএলএফএসএল থেকে প্রায় ৩,৫০০ কোটি টাকা, এফএএস ফাইন্যান্স থেকে ২,২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২,৫০০ কোটি টাকা এবং পিপলস লিজিং থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, হালদারের বিরুদ্ধে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৬টি মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি মামলার চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে, যা শিগগিরই জমা দেওয়া হবে।
আরও এক হাজার কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় আরও ১৫টি মামলা দায়ের করা হতে পারে।
অন্যান্য বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে। সব তদন্ত শেষ হলে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ভারতের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মতে, পিকে হালদার গ্রেপ্তারের আগে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ভারতে বসবাস করছিলেন।