সবচেয়ে কম বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ৭ম ঢাকা
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে কম বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ইআইইউ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় ঢাকার অবস্থানের সামান্য উন্নতি হয়েছে। গেল বছরের তুলনায় বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ৩ ধাপ এগিয়ে এসেছে রাজধানী।
সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকায় পাকিস্তানের করাচি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স এবং সিরিয়ার ত্রিপোলির অবস্থান আগের চেয়ে নিচের দিকে নেমেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ১০০'র মধ্যে ৩৯.২ স্কোর নিয়ে এ বছরের বৈশ্বিক বাসযোগ্যতার সূচকে ১৭২টি শহরের মধ্যে ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে।
২০২১ সালের তালিকায় সাড়ে ৩৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ।
গেল বছরের তালিকায় জায়গা পাওয়া ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকা ছিল ১৩৭তমতে, ২০১৯ সালে ছিল ১৩৮ এবং ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯ তম স্থানে।
এদিকে, বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনকে পেছনে ফেলে অস্ট্রিয়ার রাজধানী শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা খাতের উচ্চ স্কোরের কারণেই শীর্ষস্থান দখলে সক্ষম হয়েছে শহরটি।
এছাড়া, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং কানাডার ক্যালগারি ও ভ্যাঙ্কুভার রয়েছে শীর্ষ পাঁচে।
বিপরীতে, ১৭৩টি দেশের মধ্যে লিবিয়ার ত্রিপোলি, নাইজেরিয়ার লাগোস এবং সিরিয়ার দামেস্কের অবস্থান একদম নিচের দিকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে ইআইইউ'র গ্লোবাল লিভেবিলিটি র্যাঙ্কিং কোভিড-১৯ মহামারির লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। মহামারির এসব বিধিনিষেধ বিশ্বের শহরগুলোর সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার স্কোরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
"তবে, আমাদের সাম্প্রতিক জরিপে সূচকটি স্বাভাবিক। কারণ অনেক দেশেই এখন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে," বলা হয় প্রতিবেদনে।
ইউরোপের বাইরে শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে রয়েছে কেবল জাপানের ওসাকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। দুটি শহরই যৌথভাবে ১০ম স্থানে রয়েছে। ২৭ ধাপ এগিয়ে ৩৩তম লন্ডন এবং ১৮ ধাপ এগিয়ে ৩৭তমতে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের কিছু জায়গায় এখনও করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিধিনিষেধ তুলে না নেওয়ায় তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দেশটিকে। এছাড়া, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কিয়েভকেও জায়গা দেওয়া হয়নি তালিকায়।
পাঁচটি ক্যাটেগরিতে ৩০টিরও বেশি গুণগত এবং পরিমাণগত উপাদানের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্যতার তালিকায় স্থান দেওয়া হয় শহরগুলোকে। বিস্তৃত পাঁচটি ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।