ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন কঙ্গনার, ফিরিয়ে দেবেন পদ্মশ্রী!
বিতর্ক এবং কঙ্গনা রানাওয়াত যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে আজকাল। সম্প্রতি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পুরস্কার 'পদ্মশ্রী' লাভ করেছেন তিনি। কিন্তু তার দুদিন বাদেই নিজ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের 'স্বাধীনতা' নিয়ে মন্তব্য করে আরও একবার আমজনতার রোষের মুখে পড়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে বরাবরের মতোই নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। এমনকি বক্তব্য ভুল প্রমাণিত হলে সদ্যপ্রাপ্ত পদ্মশ্রী পুরস্কারও ফিরিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা বলেন, ভারত সত্যিকার স্বাধীনতা লাভ করেছে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। শুধু তাই নয়, ১৯৪৭ সালে ভারতের পাওয়া স্বাধীনতাকে 'ভিক্ষা' হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
সম্প্রতি 'জাস্ট টু সেট দ্য রেকর্ডস রাইট' বইয়ের চুম্বকাংশ তুলে ধরে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন তিনি।
'কুইন' তারকা লিখেছেন, "রানী লক্ষ্মীবাই, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এবং বীর সাভারকারজি প্রমুখ দেশের জন্য যে লড়াই করেছেন, এর পাশাপাশি ১৮৫৭ সালে স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্মক লড়াইয়ের কথা একই সাক্ষাৎকারে বর্ণিত আছে। ১৮৫৭ সালে কোন যুদ্ধ হয়েছিল তা আমি জানি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন যুদ্ধটা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। যদি কেউ আমাকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারে, তাহলে আমি আমার পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেবো এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবো। দয়া করে কেউ আমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করুন।"
রানী লক্ষ্মীবাইয়ের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র করার সময় তিনি ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে আলোকপাত করে কঙ্গনা বলেন, "জাতীয়বাদ তো তখনই জেগে উঠেছে, তাই নয় কি? এরপর হঠাৎ সেটা মরে গেল কেন? গান্ধী কেন ভগত সিংকে মরে যেতে দিলেন? নেতাজীকে কেন মেরে ফেলা হলো এবং তিনি কেন কখনো গান্ধীজীর সমর্থন পেলেন না? কেন দেশভাগের রেখা একজন ইংরেজের হাতে করাতে হলো? স্বাধীনতা উদযাপনের বদলে কেন ভারতীয়রা একে অপরকে খুন করতে লাগলো? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই আমি।"
এসব প্রশ্ন করার বদলে পরিণাম যাই হোক না কেন, তার মুখোমুখি হতে রাজি আছেন বলে জানান কঙ্গনা।
এদিকে 'রাষ্ট্রদ্রোহী ও উস্কানিমূলক' মন্তব্য করার অপরাধে কঙ্গনার বিরুদ্ধে একটি মামলা করার দাবি জানিয়েছে ভারতের আম আদমি পার্টি। এই মর্মে পুলিশের কাছে একটি আবেদনপত্রও দাখিল করেছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, এমনি বিজেপির সংসদ সদস্যও কঙ্গনার বক্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।