মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা পাঁচে বাংলাদেশের কিশোয়ার
জনপ্রিয় রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় 'খাসির রেজালা'সহ নানা পদের খাবার রান্না করে বিচারকদের মুগ্ধ করে ফেলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী।
ঐতিহ্যবাহী বাঙালি ব্যঞ্জন তো করছেনই, সেইসঙ্গে প্রথাগত নয় এমন নানা পদের খাবার রান্না করেও বারবার বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন কিশোয়ার। প্রতিবারই রান্নার দক্ষতা দিয়ে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলছেন বিচারকদের।
৫ জুলাই মার্টিন বেন'স সোসাইটি সার্ভিস চ্যালেঞ্জে জিতে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন কিশোয়ার।
এর আগে তিনি অপ্রথাগত পদ্ধতিতে ঐতিহ্যবাহী মাছের ঝোল রান্না করেছিলেন। তার বাবার রেসিপি অনুযায়ী রান্না করেছিলেন কালা ভুনা।
ফুচকা-চটপটি ও সমুচার মতো নানা স্বাদের স্ট্রিট ফুড বানিয়েও বিচারকদের মন কেড়ে নেন কিশোয়ার। তার মাছ আর কাঁচা আমের টকের স্বাদে মুগ্ধ হয়েছেন বিচারকরা।
খো সুয়ের সঙ্গে ভ্যানিলা মিশিয়ে নতুন পদের খাবার রান্না করেছেন কিশোয়ার। বানিয়েছেন পার্সিয়ান অ্যান্ড ভ্যানিলা রোজেস নামে পিস্টাচিও কুলফি। ভিন্ন স্বাদের দেশি খাবার রান্নার সঙ্গে সঙ্গে নানা পদের আন্তর্জাতিক কুইজিন রান্নাতেও কিশোয়ার দক্ষতা দেখিয়েছেন।
কিশোয়ারের জন্ম অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। বেড়ে ওঠাও অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশায় তিনি একজন বিজনেস ডেভেলপার।
দুই সন্তানের মা কিশোয়ারের ইচ্ছা বাংলাদেশি রান্না নিয়ে একটি বই লিখে যাওয়া, এবং কোনো পেশাদার রান্নাঘরে কাজ করা। ৩৮ বছর বয়সি কিশোয়ার চান না মাস্টারশেফ তার যাত্রা এখানেই থেমে যাক। কারণ তিনি মাস্টারশেফের বিচারকদের বাঙালি মিষ্টি খাওয়াতে চান।
কিশোয়ারের সঙ্গে শীর্ষ পাঁচে স্থান পাওয়া বাকি চার প্রতিযোগীরা হলেন—লিন্ডা ড্যালরিম্পল, পিট ক্যামোবেল, জাস্টিন নারায়ণ এবং এলিস।