মিসেস বাংলাদেশ হলেন অবনী
আয়োজনটা এবারই প্রথম। প্রথমবারের আয়োজনেই চ্যাম্পিয়ন হলেন মুনজারিন অবনী। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবের প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ঘোষনা করা হয় অবনীকে।
বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় মিসেস বাংলাদেশ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার আয়োজক অপূর্ব ডটকম।
এই আয়োজন সর্ম্পকে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে অপূর্ব ডটকমের চেয়ারম্যান অপূর্ব আব্দুল লতিফ বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে মিসেস ওয়ার্ল্ড আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের কোনো প্রতিযোগী সেখানে অংশ নেয়নি এমনকি দেশে কোনো আয়োজনও হয়নি। তাই এবার আমরা আয়োজন করে দেশের প্রতিযোগীকে আসছে নভেম্বরে আমেরিকার লাস ভেগাসে আয়োজিত মিসেস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
অপূর্ব লতিফ জানান, মূলত উইমেন ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ করা লক্ষেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। বিবাহিত নারীরাও যে সমাজে জন্য অবদান রাখতে পারে, সামাজিক কাজ করতে পারে এটাই জানাতে চেয়েছি।
মাস তিনেক আগে অনলাইনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সেখানে আবেদন করেন দুই হাজারের বেশি প্রতিযোগী। বাছাই করে ১৫০ জনকে ডাকা হয় অডিশনের জন্য। তারপর ধাপে ধাপে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত আসরে আসেন ১০ জন। এই ১০ জনের মধ্যে থেকেই চ্যাম্য়িন হন মুনজারির অবনী। তিনিই আসছে নভেম্বর লাস ভেগাসে মিসেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি পেয়েছেন ক্রাউন, ক্রেস্ট এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বায়ো জেনের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবনী বলেন, “আমি দারুন খুশী। দেশে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমার জন্য গর্বের। আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবো এ কারণে সবার কাছে দোয়া চাই।”
অবনীর সঙ্গে মূল প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে লড়েছেন- আফরিন আনিস রহমান, সুমা নুসরাত, মাটি সিদ্দিকী, মনিষা, আবাফা দিলশা, রুমানা, সনজিদা, রাবেয়া, সামান্তা ও মুনজারিন অবনী।
আয়োজনের কো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান কোদোমো বেবি কেয়ায়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অভিনেতা অন্তু করিম এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বলেন, “নারী শক্তি ও নারী জাগরণকে একধাপ এগিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এ আয়োজন। এমন আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
এই প্রতিযোগিতায় শুরু থেকে অডিশন, গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশনে বিচারক হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও পরিচালক শহীদুল আলম সাচ্চু, বিউটি এক্সপার্ট সালেহা সারোয়ার, সামিনা সারা, মারিয়া মৃত্তিক, ড. তৌহিদা রহমান ইরিন, আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মোস্তফা, গ্রুমিং ইনস্ট্রাক্টর কৃষাণ ভূঁইয়া, ফ্যাশন ডিজাইনার আজহারুল হক আজাদ, নিমা এহসান, পিয়াল হোসেন, অভিনেতা ও মডেল খালেদ হোসেন সুজন, উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েল, ইউথ-বাংলা কালচারাল ফোরামের সভানেত্রী মুনা চৌধুরী, ড্যান্স ডিরেক্টর এমডি ফারুখ, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্ত আইরিন ইসলাম, উপস্থাপক জুলহাজ জোবায়ের, মডেল কোরিওগ্রাফার লামিয়া আলম, মডেল অভিনেতা অন্তু করিম প্রমুখ।