জনি ডেপের যে সিনেমা একসময় বাতিলের মুখে পড়েছিল, এখন নেটফ্লিক্সে হিট
হলিউড অভিনেতা জনি ডেপের অভিনীত সিনেমার তালিকা তার বিরুদ্ধে থাকা সমালোচনার তালিকার মতোই লম্বা। সমালোচনার কারণে একবার তার একটি সিনেমা প্রায় বাতিল হওয়ার মুখে পড়েছিল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা।
'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান' সিরিজ, 'স্লিপি হলো' বা 'চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি ইত্যাদি ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
তবে তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি সিনেমা সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হয়েছে। আর এ সমালোচনার কারণে সিনেমাটি প্রায় বাতিল হয়ে যাওয়ার মুখে পড়েছিল।
তবে 'সিটি অব লাইস' নামক এ সিনেমাটিই এখন নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা সিনেমাগুলোর একটি।
২০১৮ সালে ইতালিতে সিনেমাটির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতিই।
'সিটি অব লাইস' কখনো বড় পর্দার মুখ দেখেনি। এজন্য প্রাথমিক চুক্তিভঙ্গের দায়ে প্রোডাকশন কোম্পানি মামলার মুখে পড়ে।
যে কারণে সমালোচনা
এ সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ শুরু হয় সেই ২০১৮ সালে।
সে সময় শ্যুটিং চলাকালে শারীরিক আঘাতের অভিযোগে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন সিনেমাটির লোকেশন ম্যানেজার গ্রেগ ব্রুকস।
এর পাশাপাশি তিনি সিনেমাটির প্রোডাকশন কোম্পানির বিরুদ্ধেও বৈরী পরিবেশকে আমল দেওয়া ও অনৈতিকভাবে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের অভিযোগ আনেন।
এর পরপরই দ্য ডেইলি বিস্ট নামক একটি মার্কিন সংবাদ ওয়েবসাইট দাবি করেছিল, ডেপকে এক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং এর পেছনে আরও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।
'সিটি অব লাইস' সিনেমাটি আমেরিকান র্যাপার ক্রিস্টোফার ওয়ালেসের মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধান চালানো রিপোর্টার ড্যারিয়াস জ্যাকসনের ওপর কেন্দ্র করে বানানো।
তদন্তের মাধ্যমে জ্যাকসন ডেথ রো রেকর্ডস-এর নির্বাহী সু নাইটের সঙ্গে ওয়ালেসের মৃত্যুর সংযোগ খুঁজে পান জ্যাকসন।
ডেইলি বিস্টের দাবি, এ কারণেই লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ এ সিনেমাকে বাস্তবে রূপ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেছিল। কারণ এমনটা হলে ওই মামলা আবার জনসাধারণের সামনে আনতে হতো।
তবে বড় পর্দা পর্যন্ত না পৌঁছালেও এখন নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা কনটেন্টগুলোর একটি 'সিটি অব লাইস'।