বেসিক ইন্সটিংক্ট: পুরুষ অভিনেতা পান ১৪ মিলিয়ন ডলার, শ্যারন স্টোন মাত্র ৫ লাখ!
নব্বইয়ের দশকের ইরোটিক থ্রিলার ঘরানার সিনেমার মধ্যে অন্যতম শ্যারন স্টোন অভিনীত 'বেসিক ইন্সটিংক্ট'। সিনেমাটিতে কিছু দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য হলিউডের বিখ্যাত এ অভিনেত্রীকে পরবর্তীতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সম্প্রতি এ সিনেমার উদাহরণ টেনে হলিউডে শিল্পীদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেন শ্যারন। খবর ইয়াহু এন্টারটেইনমেন্টের।
গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক উইমেন ইন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশনের ৪৩তম বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হলিউডে অভিনেতাদের তুলনায় অভিনেত্রীদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন শ্যারন।
এ অভিনেত্রী জানান, ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'বেসিক ইন্সটিংক্ট' সিনেমায় তার সহ-অভিনেতা মাইকেল ডগলাসকে ১৪ মিলিয়ন ডলারের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কিন্তু সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেও শ্যারন মাত্র ৫ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন!
শ্যারন বলেন, "আমি 'বেসিক ইন্সটিংক্ট' সিনেমায় অভিনয়ের পর সিনেমা বানানোর জন্য একটি স্টুডিওর কাছে অল্প কিছু বাজেট চাই। তখন তারা হাসতে হাসতে আমাকে বলে, নারীরা সিনেমা বানায় না!"
কখনো সহ-অভিনেতার সমান পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে গত ডিসেম্বরেও সামাজিক মাধ্যমে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে শ্যারন জানান, 'বেসিক ইন্সটিংক্ট' সিনেমায় যৌন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য তার সম্পর্কে অনেকের মনেই নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। সে তালিকা থেকে বাদ যাননি তার ছেলের অভিভাবকত্ব নিয়ে করা মামলার বিচারকও।
২০০০ সালে রোয়ান নামের এক শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন শ্যারন ও তার স্বামী রন ব্রনস্টেইন। ২০০৪ সালে যখন এ দম্পতির বিচ্ছেদ হয়, তখন বিচারক এই সন্তানের অভিভাবকত্ব মা শ্যারনকে না দিয়ে বাবা রনকে দেন।
সন্তানের অভিভাবকত্বের ইস্যুতে 'বেসিক ইন্সটিংক্ট' সিনেমার প্রভাব সম্পর্কে শ্যারন বলেন, "বিচারক আমার চার বছরের ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'তুমি কি জানো, তোমার মা যৌনতার ওপর ভিত্তি করে বানানো সিনেমায় অভিনয় করেন?'"
পডকাস্টে উপস্থাপক ব্রুস বজ্জিকে এ অভিনেত্রী বলেন, "আদালতের রায়ে সন্তানের অভিভাবকত্ব হারিয়ে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ওই ১৬ সেকেন্ডের দৃশ্যের কারণে আমি আমার সন্তানের অভিভাবকত্ব হারিয়েছি।"
থ্রিলারধর্মী 'বেসিক ইন্সটিংক্ট' সিনেমায় এক লেখিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্যারন। যার বিরুদ্ধে এক সঙ্গীত শিল্পীকে খুনের অভিযোগ উঠে। সেই খুনের রহস্য সমাধানের দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা মাইকেল ডগলাস।
২০০২ সালে সিনেমাটির সিক্যুয়েল মুক্তি পায়। দুটি সিনেমাই সিনেপ্রেমীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।