গুরুতর অসুস্থ থাকায় বিশ্ব সফর স্থগিত করলেন ম্যাডোনা
বিশ্ব সফর স্থগিত করেছেন পপ-তারকা ম্যাডোনা। গুরুতর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ায় গত শনিবার (২৪ জুন) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয় তাকে। খবর বিবিসির।
ম্যাডোনার ম্যানেজার গাই ওসেরি জানান, গ্লোবাল পপস্টারের সংক্রমণ ছিল 'গুরুতর', যার ফলে তার 'বেশ কয়েকদিন আইসিইউতে' থাকতে হয়। তার পূর্ণ সুস্থতার আশা করছেন তারা।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ম্যাডোনার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু তিনি এখনও মেডিক্যাল কেয়ারে আছেন।
ম্যাডোনা নিউ ইয়র্ক সিটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম।
আগামী মাসে বিশ্ব সফর শুরু করার কথা ছিল ৬৪ বছর বয়সী এই পপ তারকার। ১৫ জুলাই কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারি মেক্সিকোতে শেষ হতো এ সফর।
২০১৯ ও ২০২০ সালে ম্যাডোনার পরীক্ষামূলক থিয়েটার-ভিত্তিক 'মাদাম এক্স শো' এর পর এই সফর দিয়েই স্টেডিয়ামে ফেরার কথা ছিল তার।
কিন্তু সেসময়কার বেশকিছু পারফরম্যান্সও ম্যাডোনার হাঁটু ও নিম্নাঙ্গে ইনজুরির কারণে বাতিল করা হয়।
২০২০ সালে লিসবনে এক পারফরম্যান্স বাতিল করার পর তিনি ইন্সটাগ্রামে লিখেন, "দুঃখিত আমাকে আজ রাতের শো বাতিল করতে হয়েছে। আমাকে অবশ্যই আমার শরীরের কথা শুনতে হবে, বিশ্রাম নিতে হবে!"
কয়েক দশক ধরেই সেরা হিট গানের তালিকায় রয়েছে ম্যাডোনার বেশকিছু গান। এরমধ্যে রয়েছে ইনটু দ্য গ্রুভ (১৯৮৫), লাইক আ প্রেয়ার (১৯৮৯), ভোগ (১৯৯০) এবং হাং আপ (২০০৫)।
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রেখে এসেছেন ম্যাডোনা।
২০০৯ সালে 'স্টিকি অ্যান্ড সুইট' ট্যুর শেষ করার পর ট্যুর থেকে সর্বাধিক উপার্জনকারী নারী শিল্পী হিসেবে গিনেস রেকর্ডসে জায়গা করে নেন তিনি।
আমেরিকান ম্যাগাজিন ফোর্বস'র তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম ধনী নারী (সেলফ মেড) তিনি। তার আনুমানিক সম্পদ ৫৮০ মিলিয়ন ডলার। ট্যুর থেকে তার আনুমানিক আয় ১.২ বিলিয়ন ডলার।
মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরে বড় হয়েছেন ম্যাডোনা। ১৯৭৮ সালে নৃত্য ও সঙ্গীতে ক্যারিয়ার গড়তে নিউইয়র্কে চলে আসেন তিনি।