বংশপরিচয়ের সঙ্গে ‘মিলে গেছে’ অ্যালবামের নাম, কবি এমিলি ডিকিনসনের আত্মীয় টেলর সুইফট!
টেলর সুইফটের আগামী অ্যালবামের নাম 'দ্য টর্চারড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট'। কাকতালীয়ভাবে নামটা তার বংশপরিচয়ের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলে গেছে।
কারণ, মানুষের বংশবৃত্তান্ত খুঁজে দেওয়া প্রতিষ্ঠান অ্যানসেস্ট্রি-র মতে, বিখ্যাত কবি এমিলি ডিকিনসন ও টেলর সুইফটের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে—দুজনে একই বংশের উত্তরসূরি। তাদের দুজনের মধ্যে তিন প্রজন্মের ব্যবধান রয়েছে।
এমিলি সুইফট ও এমিলি ডিকিনসনের ডিএনএর ঠিকুজি অনুসন্ধান করে অ্যানসেস্ট্রি দেখেছে, জনাথন জিলেট নামে একজন ইংরেজ অভিবাসী দুজনেরই পূর্বপুরুষ ছিলেন। সুইফট ও ডিকিনসনের মধ্যকার আত্মীয়তার সম্পর্ক নিশ্চিত করে ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে অ্যানসেস্ট্রি লিখেছে, 'আমাদের শান্ত থাকা প্রয়োজন…কিন্তু এত বড় একটা খবর পাওয়ার পর কীভাবে শান্ত থাকব?'
সংবাদমাধ্যম এনবিসির 'টুডে' প্রোগ্রামে খবরটি প্রথম প্রকাশ করা হয়।
এমিলি ডিকিনসন (১৮৩০–১৮৮৬) তার 'বিকজ আই কুড নট স্টপ ফর ডেথ', 'হোপ ইজ দ্য থিং উইথ ফেদারস' প্রভৃতি কবিতার জন্য বিখ্যাত।
অ্যানসেস্ট্রি জানিয়েছে, ডিকিনসন ও সুইফট দুজনেই ১৭ শতকের ইংরেজ অভিবাসী জনাথন জিলেটের বংশধর (তিনি সুইফটের ৯ম প্রপিতামহ এবং ডিকিনসনের ৬ষ্ঠ প্রপিতামহ; তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে থিতু হওয়া ইংরেজ প্রবাসী)।
টেলর সুইফটের ভক্তরা অবশ্য এ দুই নারীকে দীর্ঘদিন ধরেই এক সুতোয় গাঁথছেন।
২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সুইফটের 'এভারমোর' অ্যালবামের ঘোষণা আসে। ১০ ডিসেম্বর আবার ডিকিনসনের জন্মদিন। কারও কারও বিশ্বাস, অ্যালবামের নামটির অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে ডিকিনসনের 'ওয়ান সিস্টার হ্যাভ আই ইন আওয়ার হাউস'—কবিতাটিতে 'ফরেভারমোর' শব্দটি রয়েছে।
ওই ঘোষণার দুই বছর পর ন্যাশভিল সংরাইটারস অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল থেকে দশকসেরা গান রচয়িতা ও শিল্পীর খেতাব গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তব্যে সুইফট এই কিংবদন্তি কবির কথা উল্লেখ করেন।