তরুণ বয়সে ঐশ্বরিয়া ও সুস্মিতার নিউজপেপার ক্লিপ সংগ্রহে রাখতেন প্রিয়াঙ্কা
ঐশ্বরিয়া রায় ও সুস্মিতা সেনের নিউজপেপার ক্লিপ সংগ্রহ করে রাখতেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি কাভানাফ জেমসের সাথে 'রিড দ্য রুম' পডকাস্টের একটি পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন এই বলিউড ডিভা।
১৯৯০-এর দশকে কোটি কোটি ভারতীয় নারীর অনুপ্রেরণা ছিল ঐশ্বরিয়া-সুস্মিতা। কেননা দুইজনেই খুব তরুণ বয়সে বৈশ্বিক পরিসরে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিল।
আর একজন সাধারণ তরুণী থেকে রাতারাতি বিউটি পেইজেন্ট জয়ের যাত্রা সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা বলেন, "আমার দেশে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে সত্যিই বেশ শ্রদ্ধা করা হয়। মানুষ সত্যিকার অর্থেই মিস ইন্ডিয়া ও মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার দিকে তাকিয়ে থাকতো।"
১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ঐশ্বরিয়া মিস ওয়ার্ল্ড পুরস্কার জিতেন। এর আগে ১৯৬৬ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সম্মানজনক এই পুরস্কারটি লাভ করেন ফারিয়া পাওয়েল।
অন্যদিকে সুস্মিতা সেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্স পুরস্কার লাভ করেন। একইসাথে ১৯৯৪ সালে তিনি পেইজেন্ট পুরস্কারও অর্জন করেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, "আমার মনে আছে ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড ও মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন দুই ভারতীয়; ঐশ্বরিয়া রায় ও সুস্মিতা সেন। আমার ঘরে তাদের ছবির সংবাদপত্রের ক্লিপ কোলাজ করা ছিল।"
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, "কিন্তু আমি তাদের মতো হতে চেয়েছিলাম বিষয়টা এমন ছিল না। এটা অনেকটা এমন যে, 'বাহ। তরুণ এই নারীরা বিশ্বব্যাপী এত ভালো করছে'। তাই আমি সবসময় এই প্রতিযোগিতা নিয়ে কৌতূহলী ছিলাম। কিন্তু আমি নিজে সেখানে কখনোই অংশ নিতে চাইনি।"
২০০০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রিয়াঙ্কা মিস ওয়ার্ল্ডে বিজয়ী হন। এমনকি মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পেছনেও তার সরাসরি ইচ্ছা ছিল না। বরং তার ভাই এই তারকার অজান্তেই ছবি প্রতিযোগিতায় জমা দিয়েছিলেন।
মিস ওয়ার্ল্ড জয়ের পর সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন প্রিয়াঙ্কা। তামিল সিনেমা থামিজান (২০০২) তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। পরবর্তীতে দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অফ এ স্পাই (২০০৩) সিনেমার মাধ্যমে তিনই বলিউড জগতে পদার্পণ করেন।
এরপর প্রিয়াঙ্কাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বলিউডে একঝাঁক হিট সিনেমায় অভিনয়ের পর এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন হলিউড।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান