করোনাকাল লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়েছে যেভাবে
'সামাজিক সুরক্ষা একটি মানবাধিকার,' যা সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় (১৯৪৮) উজ্জ্বলতম স্থানে উল্লেখিত এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার দলিলে আইন দ্বারা সিদ্ধ। আন্তর্জাতিক লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) মতে, সামাজিক সুরক্ষা হচ্ছে একটি 'মুখ্য কৌশল' যা দিয়ে মানুষের প্রতিকূল অবস্থার নিয়ন্ত্রণ, প্রতিকার এবং ব্যবস্থা করা যায়।
সামাজিক সুরক্ষা বলতে শুধু গরিব এবং অরক্ষিত মানুষকে সামাজিক সাহায্য বা বীমা প্রদান করাকে বোঝায় না, বরং ব্যাপক অর্থে এই সুরক্ষা বলতে সামাজিকভাবে দুঃস্থ মানুষকে চাকরি প্রদান, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বয়স্ক মানুষকে নিরাপত্তা বিধান করাকে বোঝায়।
বিশ্ব ব্যাংক 'সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা' প্রবেশাধিকারের ধারণাকে সমর্থন করে। তারা এটিকে দারিদ্র্য বিমোচনের এবং অংশীদারিত্বমূলক উন্নতি সাধনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে গুরুত্ব দেয়।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) পরিকল্পনায় সামাজিক সুরক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। এসডিজি ১.৩ উল্লেখ করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সামাজিকভাবে দুঃস্থ মানুষের ভাগ্য মজবুতভাবে পরির্বতনের জন্য জাতীয়ভাবে সঠিক সামাজিক সুরক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক।
করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালীকরণ একটি অগ্রাধিকারমূলক বিষয়। শিক্ষক, গবেষক, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং উন্নয়নকারী অংশীদার সবাই এই বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে সুপারিশ করছে। বিশেষ করে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মারাত্মক সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব প্রশমিতকরণের জন্য লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাকরণ বিষয়টি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
সঙ্গত কারণে এই বিষয় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, যেমন- সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামে লিঙ্গ কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে জানা জরুরি, করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক (এবং সামাজিক) প্রভাব মোকাবিলায় বা অন্যান্য সামাজিক সমস্যা, যেমন- গ্রামের (বর্তমান ও ভবিষ্যৎ) দারিদ্র্য দূরীকরণে কেন লিঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
করোনাভাইরাস মোকাবিলা বহুলাংশে নির্ভর করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য-সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। গবেষণা বলছে, এসব নিয়ম-কানুনের প্রতিপালন (পারিবারিকভাবে) অনেকটাই নির্ভর করে মহিলাদের ওপর। কিন্তু তারা এসবের বাস্তবায়নে পুরুষের তুলনায় বেশি বাধার সম্মুখীন হয়।
সরকার কোভিড-১৯-এর বিস্তার ঠেকাতে 'ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, জীবন বাঁচান' নির্বাহী আদেশ জারি করেছে। 'ঘরে থাকুন'- এই সুপারিশ মেনে চলা মহিলাদের জন্য অনেক সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ পুরুষরা সর্বদা ঘরে থাকলে মহিলারা স্বভাবতই পরিবারের কর্তৃত্ব হারায়, যারা কার্যত পরিবারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।
সাম্প্রতিক গবেষণা দেখাচ্ছে, করোনাভাইরাসের জন্য লকডাউন বা সাধারণ ছুটির কারণে 'জেন্ডার-বেসড ভায়োলেন্সের' ঘটনা অনেক বেড়েছে। কারণ, অরক্ষিত মহিলা, মেয়ে ও শিশুদের অত্যাচারকারীর (Abusers) সঙ্গে সারাদিন বাড়িতে থাকতে হয়।
'ঘরে থাকুন'- এই অভ্যাস খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাকেও ত্বরান্বিত করেছে, যা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত, এটা ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (ফাও) দেখিয়েছে। ২০০৮ গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের অভিজ্ঞতা বলে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি প্রভাবিত করেছিল।
এখন পর্যন্ত, কোভিড-১৯-এর তথ্য এবং জ্ঞান অসম্পূর্ণ। সেজন্য, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডাব্লিউএইচও) সবাইকে কোভিড-১৯-এর হালনাগাদ তথ্য রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই তথ্য এবং জ্ঞান আহরণে মহিলারা সর্বদা নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়; যেমন, তাদের স্বল্প অক্ষরজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে (আইসিটি) খুবই কম প্রবেশাধিকারের সুযোগ।
মোবাইল ফোন আপাতদৃষ্টিতে সর্বব্যাপী, তারপরও ডিজিটাল ডিভাইড (সংখ্যাগত বিভাজন) সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন মালিকানায় লিঙ্গবৈষম্য প্রায় ১৭ শতাংশ পয়েন্ট; এই সংখ্যা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহে মাত্র ৭ শতাংশ পয়েন্ট। বিশেষ করে, এই লিঙ্গবৈষম্য গ্রাম্য অঞ্চলে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষার যৌক্তিকতা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যেমন- জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহ- ইউনিসেফ তুলে ধরেছে। প্রথমত, বলতে হয় করোনাভাইরাস দ্বারা পুরুষ এবং মহিলা ভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়। এর জন্য লিঙ্গ-সংক্রান্ত, দায়িত্ব, নিয়ম ও কানুন এবং (শারীরিক) সক্ষমতা অনেকটা দায়ী। ফাও দেখিয়েছে, মহিলাদের কোভিড-১৯ মহামারির আসল 'ধকল' সামলাতে হবে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দেখিয়েছে, মহিলারা করোনাভাইরাসকে হারানোর যুদ্ধে 'সম্মুখভাগে' রয়েছে; কারণ তারা সারা দুনিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে প্রায় ৭০শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী মহিলা- যা তাদের অধিক হারে সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
লিঙ্গবৈষম্য এবং অসমতা হচ্ছে অন্যতম মূল কারণ, যা মহিলাদের মধ্যে দারিদ্র্যতা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বয়ে আনে। এই বৈষম্য এবং অসমতা মহিলাদের বিভিন্ন সার্ভিসে, উৎপাদনশীল সম্পদে এবং কর্মসংস্থানে প্রবেশাধিকার অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এসব বাধা পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে উৎপাদনশীল কাজে অংশগ্রহণ ও আয় উপার্জনের মধ্যে ফারাক তৈরি করে।
দীর্ঘস্থায়ী লিঙ্গ-অসমতা মহিলাদের সামাজিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে যেমন বাধা তৈরি করে, তেমনি অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে তাদের অংশগ্রহণ মারাত্মকভাবে বাধার সম্মুখীন হয়। একইভাবে, এই অসমতা পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও অন্যান্য সাংসারিক কাজে (যেমন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে) মহিলাদের ভূমিকাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তোলে।
সাধারণভাবে, শ্রমের বাজারে এবং শিক্ষায় মহিলাদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম। তারা অনেক কম সামাজিক ও আর্থিক স্বাধীনতা ভোগ করে, যা তাদেরকে সম্পত্তির মালিক হতে বাধাগ্রস্ত করে। ফলশ্রুতিতে, গ্রামের ও শহরের মহিলারা পুরুষদের তুলনায় সুরক্ষিত উপার্জনের পথ তৈরিতে বেশি বাধার মুখোমুখি হয়, যা তাদেরকে দারিদ্র্যের চক্রাকারের আবর্তে পতিত করে।
এইসব লিঙ্গবৈষম্য এবং অসমতা কমানোর জন্য লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষার প্রতিষ্ঠাকরণ ও শক্তিশালীকরণ খুবই জরুরি।
দ্বিতীয়ত, মহিলারা সর্বদাই সামাজিক সুরক্ষা প্রোগামে অংশগ্রহণ ও সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধার মুখোমুখি হয়। সাধারণভাবে, মহিলাদের থাকে অনিয়মিত এবং বাধাপ্রাপ্ত চাকরির ইতিহাস এবং তাদের কর্মসংস্থান মূলত অনানুষ্ঠানিকখাতে যুক্ত। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দৈনিক মজুরি শ্রমিক, স্ব-নিযুক্তকর্মী, অবৈতনিক পারিবারিক শ্রমিক, খণ্ডকালীন গৃহকর্মী, বিউটি পার্লারের কর্মী, ইটভাটার শ্রমিক এবং অন্যান্য ভাড়াটে শ্রমিক। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিকখাতে কাজ করে। এই খাতের কর্মীরা অবসর ভাতা, অর্থনৈতিক সুরক্ষা, বীমা সুবিধা ও চাকরি সমাপ্তির চিঠি পায় না বললেই চলে।
শিশুসহ মায়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সার্বজনীন কাজের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়, যদি ঐ প্রকল্পে শিশু তত্ত্বাবধানের সুবিধা না থাকে। অনেক সময় গ্রামের দুঃস্থ মহিলারা যদিও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অর্ন্তভুক্ত থাকে, তবু তারা সামাজিক সুরক্ষার সকল সুবিধা (যেমন, আর্থিক ও শিক্ষামূলক) নিতে এবং ভোগ করতে পারে না।
মহিলা ও মেয়েরা তাদের সামান্য আর্থিক দক্ষতা, কার্যকরী সাক্ষরতার অভিজ্ঞতা, দুর্বল দর কষাকষি এবং সীমিত মনোবলের জন্য বিভিন্ন উপকৃত হওয়া বা লাভবান হওয়ার কাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়। লিঙ্গ-নিরপেক্ষ কর্মসূচি তৈরি এবং বাস্তবায়ন মহিলা এবং মেয়েদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক বাধাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে তাদের অংশগ্রহণ নিবারণ করবে।
তৃতীয়ত, লিঙ্গ বিষয়টাকে অবহেলা করলে গ্রামের মহিলা এবং তাদের পরিবারের মধ্যে দারিদ্র্যতার হার বেড়ে যাতে পারে। গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, এতে করে তাদের লিঙ্গ-অসমতা, বৈষম্য ও নিরাপত্তাহীনতা প্রবলভাবে বাড়তে পারে।
ইতিহাস বলে, যদি জেন্ডারড-ইমপ্যাক্টের জন্য চাকরি এবং ব্যবসা খোয়ানোর সংখ্যা বিবেচনা না করি, তারপরও যেকোনো মহামারি দ্বারা উপার্জনের পথ হারানোর ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের তুলনায় বেশি অরক্ষিত।
বাংলাদেশে গড়ে মহিলাদের আয় পুরুষের তুলনায় কম এবং সেজন্য তাদের মধ্যে দারিদ্র্যের হারও বেশি। মেয়েরা ও মহিলারা অনেক কারণে পুরুষের তুলনায় কম সম্পদশালী হয়। যেহেতু তারা বেশি সেবার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে, সেজন্য অবসর সময়ে (এবং ছাঁটাই হলে) তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস খোঁজা খুবই কঠিন হয়।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে গ্রামীণ দারিদ্র্যতার লিঙ্গ-সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলোকে (যেমন, অনুপাতহীন কাজের বোঝা এবং সীমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার) অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনতে হবে। এর জন্য লিঙ্গ ব্যপারটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বয়স এবং প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য অরক্ষিত দল বা শ্রেণির 'চাহিদা' নিরূপণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কৌশল প্রণয়ন করা দরকার।
একইসঙ্গে, লিঙ্গ-সংবেদনশীল 'তদারকি ও মূল্যায়ন' করা উচিত, যা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদ্ভুত লিঙ্গ-সম্পর্কিত হানিকর উৎপাদকগুলোকে নিরূপণ এবং নির্ণয় করে তা প্রশমিত করতে পারে।
সরকারের কর্মপন্থা (পলিসি) এবং জনস্বাস্থ্যের পদক্ষেপগুলো বহুলাংশে রোগ সংক্রমণ ও দারিদ্র্যতার যে লিঙ্গ-সম্পর্কিত সংযোগ এবং প্রভাব, তা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে জেন্ডারড চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকিগুলো 'লিঙ্গ অসমতার' বিষয়টিকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছে এবং আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, এই অভূতপূর্ব মহামারির 'সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক' প্রভাব মোকাবিলায় কেন লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাকরণ এবং শক্তিশালীকরণ জরুরি।
মহামারি থেকে বাঁচাতে লিঙ্গ-সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিই হতে পারে বাচ্চা, মেয়ে, মহিলা ও অন্যান্য অরক্ষিত শ্রেণির জন্য সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক চিলড্রেন ইমারজেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) বলেছে, এই সমাধানই হবে নিয়মাবদ্ধ, অধিকারভিত্তিক এবং সমন্বিত সামাজিক সুরক্ষার মূল বিষয়। এই সুরক্ষা ছাড়া এ দেশে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের প্রশ্ন অবান্তর।
- লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কৃষি সম্প্রসারণ ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা