বিদায় সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী: ঘুড্ডি দিয়ে সিনেমায় বদলের স্বর
বয়স কম থাকলে মানুষ পাখি থাকে। ডানা দুটি থাকে সতেজ, দৃষ্টি স্বচ্ছ, প্রতিদিন ঘুম ভাঙলে মনে হয় দিনের ভাঁজে কতই না বিস্ময় লুকিয়ে আছে ৷ বলছি, মিলেনিয়ামের সামান্য আগে-পরের কথা। চট্টগ্রামে অনেক বই পড়ার জায়গা আর সিনেমা হল। অন্তত গোটা দুই বিকল্প চলচ্চিত্র দেখবার জায়গা। সালমান শাহ আর রুবেল-মান্নার রাজত্ব পেরিয়ে আমাদের মনের পাখিরা বাংলাদেশের মানচিত্র পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা আর এশিয়ার অন্যান্য দেশে বেড়াতে যাওয়ার আগে আগে একদিন একাদিক্রমে তিনটি বোমা আমাদের ধ্বস্ত করে দিলো। বোমা তিনটি যথাক্রমে, আলমগীর কবিরের সূর্যকন্যা, শেখ নিয়ামত আলীর দহন এবং সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর ঘুড্ডি। আজ ঘুড্ডির কথা বলি। ঘুড্ডির ঈশ্বরের নামগান করি। চলচ্চিত্র মন্ত্রোচ্চারণসমেত ধ্যান যাতে খুলে যেতে পারে তৃতীয় নয়ন। এসব কথা, কচি বয়সে উপরোক্ত তিনজনের কাছেই দেখা ও শেখা। এই সেদিনও জানা ছিল না, তিনি আমায় মানুষ করে তোলা শহরের সন্তান। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়ায় তাঁর বসত ভিটে।
পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়তে যাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে তিনি সময়ে পৌঁছাতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু টেনে নিয়ে যায় সেই সাক্ষাৎকারের দিকে। ততক্ষণে কর্তারা সব বেরিয়ে যাচ্ছেন। বোর্ডে ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় মুখ করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাকী এ যাত্রা উদ্ধার পেলেন বড় ভাই কামাল থাকায়। আবার সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয় কিঞ্চিৎ বকাবাদ্য হজম করিয়ে। এবং তিনি সসম্মানে উত্তীর্ণ হন। সিনেমা পরিচালনা শিখতে গেলেন তিন বছরের জন্য। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী মায়েস্ত্রোদের পেয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। সত্যজিৎ রায় তাঁর কাছে 'একেবারে দর্জির মতো নিয়মানুবর্তী, সব গুছিয়ে রাখতেন'। মৃণাল সেনের ক্লাস নেয়া মেধার দীপ্তিতে উজ্জ্বল। আর ঋত্বিক ঘটক অনুমিতভাবেই বোহেমিয়ান। কেউ ক্লাসে অমনোযোগী হলে অশ্রাব্য গালাগাল। কিন্তু যখন কিছু একটা বোঝাতেন, অত্যন্ত সিরিয়াস হয়ে তন্ময়ভাবে বোঝাতেন। নির্ধারিত গেস্ট হাউস বাদ দিয়ে থাকতে চাইতেন ছাত্রদের সাথে। গুরু শিষ্যের একদিনের আলাপচারিতার কথা জানলে আমরা সদ্য প্রয়াত পথিকৃৎ পরিচালকের মনের ধাত বুঝতে পারব।
২
'এই যে বললাম, ঋত্বিক অদ্ভুতভাবে ক্লাস নিতেন, গাছতলায় অথবা রুমের মধ্যে বসে। মাঝে মাঝে ওনার পা খুব ফুলে যেত, কী ভয়ঙ্কর অবস্থা! এ রকম পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি বালতির হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে বসতেন আর আমরা তার সামনে কারপেটের উপর বসতাম। অনেক ছাত্রই ওনাকে তখন প্রশ্ন করত, উনিও উত্তর দিতেন। এ রকমই একদিন আমি তাঁকে একটা প্রশ্ন করে বসি। আমার প্রশ্নটি ছিল এ রকম—আপনার কোমলগান্ধার-এর মূল চরিত্র পদ্মার এপারে বসে খুব আওড়ায়, ওপারে সমস্ত স্বপ্ন, মুখ ও শান্তি। পূর্ব বাংলার আকাশ-বাতাস এবং তার ভিতরের মানুষ সবাই একেবারে সোনার সিংহাসনে বসা, সেখানকার আকাশ থেকে মধু, দুধ পড়ে, সবাই পায়। অথচ যে সময়ের কথা আপনার নায়ক বলছে, সে সময় আইয়ুব খানের মার্শাল ল চলছে। আপনি পলিটিকাল সিনেমা করছেন, সেখানে যদি পলিটিকাল আবহাওয়াটাই না আসে, তাহলে তো একটা শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে এই সংলাপটা দেওয়া হলো, তাই নয় কি!' এটা শুনেই ঘটক আমার উদ্দেশে তেড়ে এসে বললেন, 'এই জানোয়ারের বাচ্চা, বানচোত, এই শালা, হারামজাদা, কী বললি!' এরপরই আমাকে মারলেন এক লাথি। লাথির তোড়ে তার বালতির সব পানি ক্লাসের মধ্যে পড়ে একাকার হয়ে গেলো। পুরো জায়গায় পিনপতন নীরবতা। ঘটকও একদম চুপ করে রইলেন কিছুক্ষণ। এরপর ঋত্বিক বললেন, 'তোর কথার জবাব আমি দেব, জাকী।' অবশ্য এরপর তিনি তো আর কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়ার সুযোগই পাননি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাকে।'
উদ্ধৃতি দীর্ঘ হলো কিন্তু ধাতটা বোঝাতে দরকার ছিলো, শিক্ষানবীশকালেই যে ছাত্র শিক্ষককে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারেন, তিনি তো কালে কালে ইতিহাস হবেনই। দেশভাগকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচ্চিত্রের একটি গভীর সমস্যা তখনই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। আমরা তাঁর মুখেই শুনি।
'চলচ্চিত্রনির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের একটা ব্যর্থতা আমার চোখে ধরা পড়েছিল পুনেতে পড়তে এসে, তার সিনেমা দেখে এবং তাকে খুব কাছ থেকে দেখে। উনি ৪৭-এর দেশভাগকে কখনো র্যাশনাল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে পারেননি। সবসময় আবেগীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছেন। শুধু তিনি নন, এই ধরনের নস্টালজিয়া পুনেতে পড়াকালীন কলকাতার অনেক জ্যেষ্ঠদের ভিতরও আমি দেখেছি। তাদের সবার ভিতর এ রকম একটা নস্টালজিয়া: আহা, আমার সেই নারকেল গাছ, সেই তাল গাছ, সেই পুকুর পাড়! ৪৭-এর আগের সবকিছুই যেন তাদের সোনালি ফ্রেমে বাঁধানো! নিজেদের মধ্যে আবেগ প্রকাশের সময় তারা এ রকম ভিজ্যুয়ালাইজেশন করতেই পারেন, এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ৪৭ নিয়ে সিনেমা বা অন্য কোনো মহাফেজ তৈরির ক্ষেত্রে ও পূর্ণাঙ্গ গবেষণার পথে এই আবেগ অবশ্যম্ভাবী বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ কোনো একটি বিষয়ে প্রকৃত সত্য খুঁজতে গিয়ে যদি তাতে আবেগ চলে আসে, তাহলে সেখান থেকে পরিপূর্ণ কিছু বের করা যায় না, সম্ভবও নয়। '
৩
পুনে থেকে ফেরার পর সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর দীর্ঘদিনের বন্ধু, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ জানতে চেয়েছিলেন, কী শিখে এলেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, কী শিখতে হবে সেই ব্যাপারটি। আমরা এখন যে সিনেমা নিয়ে কথা বলব, তা তাঁর অতি বিখ্যাত কাজ, বাংলাদেশের ইতিহাসে ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের যেকোনো তালিকায় এই চলচ্চিত্রটি থাকে।
কিছু ঝুঁকি নিয়েই বলি, ১৯৮০-তে মুক্তি পাওয়া যেকোনো বিদেশি চলচ্চিত্রের সাথেও শিল্পমানের দিক থেকে এই ছবি প্রতিযোগিতা করতে পারে।
গভীর বিশ্বাসের জায়গা থেকে গত রাতে তাঁর প্রয়াণ সংবাদ জানার পর একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলাম। তুলে দিই:
'ঘুড্ডি দেখেছিলাম খানিকটা বড় বয়সে। এমন এক বয়স যখন গায়ে পাতা পড়লেও শরীরের প্রতিটি রন্ধ্র কথা কয়। অবিস্মরণীয় আসাদ আর সুবর্ণা জুটি। গল্পটাও অন্য রকম।
'আসলে দেশ স্বাধীনের পর কয়েক বছর মানুষের মনে বড় বড় স্বপ্ন ছিলো। আমাদের লেখকেরা ট্রিমেন্ডাস সব লেখা উপহার দিয়েছেন। আমাদের পরিচালকেরা ইস্ট ইউরোপসহ সারা বিশ্বের বড় পরিচালকের সাথে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে সিনেমা বানিয়েছেন। উদাহরণ বেশি দূর যেতে হবে না, একাত্তরের যীশু দেখুন আর পরের গার্বেজগুলি দেখুন। অথবা, চিত্রা নদীর পাড়ে এবং তারপর।
'আমাদের ভালোবাসার পৃথিবীতে একটিমাত্র কালোত্তীর্ণ শিল্প নির্মাণ করে স্মরণীয় হওয়ার ঘটনা আছে। যেমন হুয়ান রুলফোর পেদ্রো পারামো, একটিই উপন্যাস। তেমনি সারা পৃথিবীর চলচ্চিত্রশিল্প বিচারে ঘুড্ডি একটা বিশেষ সৃজন, আমাদের দেশে।
'ঘুড্ডির পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর প্রয়াণ সংবাদ শুনেছি মধ্যরাতের খানিক পরে। আর ঘুমাতে পারিনি। বিপন্নতা হয়তো ইনসমনিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। '
বিশ্বাস করেই দিয়েছিলাম, কেননা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে স্বপ্ন নিয়ে, স্বপ্নটির অকালমৃত্যুর কথা ছবিটির পরতে পরতে, মহাব্বত আলীর মুখ দিয়ে পরিচালক বলাচ্ছেন। নায়কের মনোলগে আমরা শুনি, 'মেয়েটি বলছিল যুদ্ধ। যুদ্ধের স্মৃতি। আর আমি? আমি আসলে খুঁজছি। একাত্তরের ধ্বংসস্তূপ থেকে খেতাব, প্রতাপ আর ইন্ডেটিং-এর দালানের ভিতর। কী? আমিও তো যুদ্ধ করেছিলাম। আমার পরিচয়? এখন মুক্ত?' মানুষ যখন দেখে তার শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হলো না, স্বপ্ন ছিন্ন তখন এক বিপুল অস্তিত্বের সংকট তাকে গ্রাস করে। তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী? আমরা জানি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা আওয়ামী লীগের হলেও কমিউনিস্টদের অবদান অনস্বীকার্য। যুদ্ধের পরে সে বামপন্থীদের কী দশা, আমরা আরেক সংলাপে দেখি। ঘুড্ডি যখন শ্রেণিহীন সমাজে আস্থার কথা মহাব্বত আলীর কাছে জানতে চায়, তখনকার সংলাপ পড়ি:
'ঘুড্ডি : আপনি বলেছিলেন জনতা ক্লাস। ক্লাস। আপনি ক্লাসলেস সোসাইটিতে বিশ্বাস করেন?
মহব্বত আলী : হুম, করি। রোববার। সানডে। সানডে কমিউনিস্ট। আমি রোববারের কমিউনিস্ট।
ঘুড্ডি: সানডে কমিউনিস্ট? আহা,বুঝিয়ে বলবেন তো।
মহব্বত আলী : রোববার সকালে যখন অফুরন্ত অবসর, খবরের পাতায় যখন গরম খবর, আহ্, সর্বহারা জনতা, আহ্, দুর্ভিক্ষ, খরা ; আহ্, তখন আমার মনের ভেতর জেগে ওঠে উদাত্ত রবীন্দ্রসংগীত 'বাঁধ ভেঙ্গে দাও, বাঁধ ভেঙ্গে দাও, বাঁধ ভেঙ্গে দাও । আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথ কি বিপ্লবী ছিলেন? '
এইভাবে কমিউনিজমের সাথে রবীন্দ্রনাথকে জুড়ে একটা আস্ত সময়ের দ্বিধা, অস্বস্তি এমনকী ভয়কে সরাসরি দর্শকের চোখের সামনে দগদগে ঘায়ের মতো উন্মোচিত করেন৷ কিন্তু শ্রেণিহীন হওয়া কি হলো? অথবা শ্রেণিহীন হতে চেয়ে চলচ্চিত্র ঘুড্ডির শেষে প্রশান্ত জলাশয়ে, নদী উপকূলে আশ্রয় নিয়ে মহাব্বত আর ঘুড্ডি কি সে সম্ভাবনার দিকে যেতে চেয়েছিল! আমরা জানি না, এইটুকু জানি, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী আমাদের অন্তরের মানুষ ছিলেন। বাংলাদেশে যে অতি অল্প কয়েকজন মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে হাড়ে মাংসে আত্মায় বুঝেছিলেন এবং কখনোই সুবিধাবাদের গাড্ডা, সরলীকৃত সমীকরণে গা ভাসাননি, তিনি সেই নমস্য গোত্রের একজন।
'বরফ' নামে এক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়াও 'লাল বেনারসী' ও 'আয়না বিবির পালা' নামে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য তিনি নির্মাণ করেছিলেন। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন। আমাদের স্মরণে তাঁর বিধ্বংসী, একটি জনপদের সাথে সহমর্মী কাজ 'ঘুড্ডি'ই অমর হয়ে থাকবে। আমাদের অতি আপনজন প্রয়াত হয়েছেন। আসুন খানিকটা সময় নীরবতা পালন করি।
পুনশ্চ
এক অগ্রজ বন্ধু বলছিলেন ফেসবুক পোস্টের সাপেক্ষে, ঘুড্ডি মৃণাল সেনের 'আকাশ কুসুম' থেকে প্রভাবিত বা অনুপ্রাণিত। তাঁকে উত্তরে যা বললাম তুলে দিই এখানে - 'সে তো আকাশ কুসুম সম্পর্কেও বলেছিলেন সত্যজিৎ রায় ত্রুফো প্রভাবিত৷ এবং লিখে জানিয়েছিলেন, a crow film is a crow film। আমার ব্যক্তি মতামত, ঐ সময়ের প্রায় সবার কাজেই পূর্ব ইউরোপের ছবি, নিউ রিয়ালিস্ট ইতালিয়ান ছবি এবং নিউ ওয়েভ ফরাসী ছবির স্পষ্ট প্রভাব আছে৷ সত্যজিতের 'নায়ক' এর অনেক দৃশ্য, শৈলী পোলিশ ফিল্ম 'নাইট ট্রেন' থেকে টোকা। ঋত্বিকের শর্ট ফিল্ম 'ফিয়ার', কুরোশাওয়া থেকে সোজাসুজি নেয়া।
তথ্য ঋণ:
রচনাটির জন্য 'ম্যাজিক লণ্ঠন' পঞ্চদশ সংখ্যায় মুদ্রিত, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লিখিত গদ্যের কাছে আমি ঋণী।
- প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী মারা গেছেন গতকাল সোমবার রাতে। নির্মাতা ছাড়াও তিনি ছিলেন একাধারে কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। এই বরেণ্য নির্মাতার জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৬ আগস্ট। তার প্রথম চলচ্চিত্র 'ঘুড্ডি' দর্শকদের-সমালোচকদেরও মন কেড়ে নিয়েছিল। এই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান তিনি।