এই সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজ মানবাধিকার রক্ষা করা
শুরু করছি একটি ভাল খবর দিয়ে। সেটা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন বহাল হয়েছে। এখন আর তার মুক্তিতে বাধা নেই। তিনি প্রায় পনের মাস ধরে কারাগারে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করেছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ৯ মাস বেশি সময় কারাগারে থাকতে হলো। শেষ পর্যন্ত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অতএব খাদিজা এখন বাইরে মুক্ত বাতাসে আসতে পারেন। মাত্র ২২ বছর বয়সী এই ছাত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বলি হয়েছিলেন। ধন্যবাদ যারা খাদিজার জন্যে এতোদিন লড়েছেন। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রমাণের জন্য এমন অনেক ঘটনাই ঘটে চলেছে।
খাদিজার জামিন পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৩ নভেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি চতুর্থবারের মতো পর্যালোচনা সভার পর। সেখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রশ্নে খাদিজার কারাবরণের প্রশ্নও উঠেছিল।
ইউনিভার্সেল পিরিওডিকাল রিভিউ বা ইউপিআর ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে; এরপর প্রতি পাঁচ বছর পর পর আরো দুটি রিভিউ সভা হয়েছে, ২০১৩ এবং সর্বশেষ পর্যালোচনা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। অর্থাৎ এই চারবার পর্যালোচনা হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সরকারের আমলেই।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আইন মন্ত্রী খুব উৎফুল্ল যে ৯০% দেশ তাদের সুনাম করেছে। অন্যদিকে ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের এই সভায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অংশ নিয়েছে। জেনেভায় যখন এই সভা হয়েছে এবং আইনমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পর্যালোচনার জবাব দিচ্ছিলেন তখন দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ডাকে অবরোধ চলছে, চলছে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরির আন্দোলন। সঙ্গে বিরোধী দলের কর্মীদের ধরপাকড়, শ্রমিকদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলা ও গ্রেফতারের মতো ঘটনার অভিযোগও আসছে। দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাদাভাবেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সরকারকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মানবাধিকারের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে শুধু উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক থাকে না তা ইউপিআর রিভিউতে যোগ দিয়ে আমাদের সরকারের প্রতিনিধিরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। উন্নয়নই বা কতটুকু টেকসই হচ্ছে। এই লেখা যখন লিখছি (১৭ নভেম্বর) পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে রিজার্ভ নেমেছে ১৯.৬০ বিলিয়ন ডলারে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট যেমন বঙ্গবন্ধু টানেল দ্রুত উদ্ভোধন করা হয়েছে, কিন্তু সেগুলোতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সাড়া। পত্রিকার খবর যেখানে গড়ে প্রতিদিন ১৭ হাজারের বেশি গাড়ি চলার কথা, গত ১৮ দিনের গড়ে প্রতিদিন চলেছে ৬ হাজার ৩১৮টি। এখনো একেবারেই নতুন তবুও এগুলো হিসাব তো বটেই। গার্মেন্টসের অর্ডার কমে যাচ্ছে, আমদানিতে যোগ হয়েছে আলু। এগুলো ভাল লক্ষণ নয়। কাজেই উন্নয়ন হচ্ছে একটু আধটু, মানবাধিকার লঙ্ঘন তো হতেই পারে-এমন কথা বলা যাচ্ছে না।
ইউপিআর রিভিউতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিবেদন দিয়েছে যেখানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে; এবং ২০১৮ সালের বৈঠকের পর থেকে কোন বিষয়গুলোতে কী ধরণের পরিবর্তন এসেছে সেসব তুলে ধরা হয়েছে। বলা বাহুল্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে ২০১৮ থেকে সব ধরনের মানবাধিকার সমস্যা ক্রমে ২০২২ সালে এসে কমে এসেছে বলে দেখানো হয়েছে। কখনো এই সমস্যা শূন্যের কোঠায়ও এসে গেছে। যেমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনা ২৫ থেকে নেমে এসেছে মাত্র চারটি ঘটনায়। এখানে কোথাও বলা হয়নি যে র্যাবের দ্বারা এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনার অভিযোগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধেও স্যাংশন দিয়েছে ২০২১ সালে। ২০১৮ সাল থেকে দেশী ও বিদেশী মানবাধিকার সংগঠন গুমের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। 'মায়ের ডাক' নামের সংগঠনের সাথে যুক্ত গুমের পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না। তবে কাকতালীয়ভাবে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পর এগুলোর সংখ্যা একদম বন্ধ না হলেও কমে আসে। জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন এইসব প্রশ্ন তোলেনি। তারা একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর সাথে বাস্তব অবস্থার কোন মিল নেই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তারা আরো বলেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়েছিল পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসে সেগুলো যাতে তারা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারে। এজন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। এতে বোঝা যায় তাদের প্রস্তাবের কোন গুরুত্ব সরকারের কাছে নেই।
ইউপিআর রিভিউতে সরকার দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়। কোন সদস্য আইন ভঙ্গ করে শক্তি প্রয়োগ করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। এটা যে সত্য নয়, তা বাংলাদেশের মানুষ জানে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনরা তাদের যে নজরদারি রেখেছে তাতেও এ কথা পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ে।
অন্যদিকে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সরকার ব্যাপকভাবে খেয়ালখুশি মতো গণগ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ব্যাপক আকারে নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখায় যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা অর্থহীন, কারণ চলমান রাজনৈতিক গণগ্রেপ্তার, জোরপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মানবাধিকারের প্রতি সরকারকে প্রকৃত প্রতিশ্রুতি দেখাতে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার অধীনেই কাজ করতে হবে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগের ফয়সালা করতে হবে। অবিলম্বে বিরোধী রাজনৈতিক, সমালোচক এবং মানবাধিকারের পক্ষের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানি এবং নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রধান অভিযোগ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করছে, যেমন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিচার বিভাগ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার পর্যালোচনায় সরকার পক্ষের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা শোনার পরও বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি বলে মত দিয়েছে ১১০টি দেশের প্রতিনিধি, তারা ৩০১টি সুপারিশ পেশ করেছে। এর মধ্যে নির্বাচন ইস্যুও রয়েছে। একটু অবাক হচ্ছি যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হক, কিন্তু ১৬ নভেম্বর সুপারিশমালা অনুমোদনের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এই সভায় তার উপস্থিতি খুব বেশি দরকার ছিল। এখানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ এসব সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। অথচ আইনমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে এই সুপারিশগুলো শুনলে অনেক বেশি কার্যকর হতো। এতে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সরকার কতোটা আন্তরিক তা অনুমান করা যায়।
আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর; এই তফসিল ঘোষণা না করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো বারে বারে আহবান করেছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্ত তবুও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে 'প্রিয় দেশবাসী' বলে ভাষণ দিয়েছেন। পুরো ভাষণে কোথাও তিনি প্রিয় দেশবাসীকে বলতে পারেন নি যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বা তিনি করতে পেরেছেন। তারপরও ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর প্রতিবেদনে আসন্ন জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী যে দমনপীড়ন চালাচ্ছে সেই অভিযোগও উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রায় ১০ হাজার সহ রাজনৈতিক বিরোধীদের গণহারে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার করা সত্ত্বেও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গণহারে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার, প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া, হয়রানির অভিযোগ, ভীতিপ্রদর্শন এবং প্রতিশোধ নিতে বেআইনিভাবে পরিবারের সদস্যদেরকে আটক করায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬০০ জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ আছে। কিছু মানুষকে পরে মুক্তি দেয়া হয়েছে, আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে অথবা হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ১০০ মানুষ এখনও নিখোঁজ। ভিকটিমের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তাদের মামলা নিতে বা তদন্ত করতে অস্বীকার করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপরের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে তারা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর আর একটি অভিযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলছে ২০১৮ সালে ইউপিআর রিভিউতে বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছিল যে, জোরপূর্বক গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের অনুকূলে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু ৫ বছর পরে এসেও বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপকে আমন্ত্রণ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে সরকার।
মানবাধিকারের আরো নানা দিক নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে, যা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে আগের ইউপিআর রিভিউর পর পরিস্থিতির খুব উন্নতি হয়নি। তবে হয়তো রিভিউ চলাকালীন সময়ে এই সব কথা আলোচিত হওয়ায় খাদিজাতুল কুবরার ভাগ্যে সুখবর জুটেছে। আইনমন্ত্রী সেখানে বলে এসেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। জিজ্ঞেস করি এটা কি একইভাবে নিপীড়নমূলক নয়?
সামনে নির্বাচন। মানবাধিকার রক্ষার এখনই সবচেয়ে ভাল পরীক্ষার সময়।
- লেখক: প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।