পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিন মাস পর এদিন সকাল ৯টায় মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। এরপর দিনব্যাপী চলে টাকা গণনার কাজ। প্রতিবারের মতো এবারও দানবাক্সে বৈদেশিক মুদ্রা এবং স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. টি. এম. ফরহাদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকাগুলো ২০টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে গণনার কাজ।
মানুষের দান করা এসব অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানা এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত পাগলা মসজিদটিকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ চলছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, পাগলা মসজিদকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ কাজ শুরু হবে। এই কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। কমপ্লেক্সটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
এর আগে গত বছরের ১ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
জনশ্রুতি রয়েছে, এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানে। সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।