ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে আমেরিকার ভাড়াটে যোদ্ধারা
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে রয়েছে আমেরিকার সামরিক বাহিনী। তবে উর্দিধারী মার্কিন সেনারা নয়; বরং পেন্টাগনের ভাড়াটে যোদ্ধারাই রণাঙ্গনে লড়ছে। ফ্রান্সের গোয়েন্দা বাহিনীর একজন বিশ্লেষকের বরাতে এসব কথা জানিয়েছে ফরাসী ম্যাগাজিন কজেয়াঘ।
গত সপ্তাহে ডানপন্থী ম্যাগাজিনটিতে প্রকাশিত নিবন্ধটি জানাচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সর্বত্রই রয়েছে ভাড়াটে এই যোদ্ধাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
নিবন্ধটিতে পাঁচ মাস ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন- ইউক্রেন যুদ্ধ অসুরের বিরুদ্ধে দুর্বলের লড়াই; কিন্তু আসলে তা নয়'।
'ইউক্রেনে এই প্রথমবারের মতো অনেক বড় পরিসরে যুদ্ধ সক্ষমতা ভাড়া করেছে পেন্টাগন'। ওয়াশিংটন কিয়েভকে যে বিপুল পরিমাণ যে সামরিক সহায়তা দিয়েছে তার পাশাপাশি নিয়োগ দেয়া হয়েছে এসব ভাড়াটে যোদ্ধাকে। তবে এদের সবাই সম্মুখসারির যোদ্ধা নয়।
অর্থাৎ, তাদের মধ্যে পশ্চিমা অস্ত্র, সরঞ্জাম মেরামতকারী থেকে শুরু করে পরামর্শকরাও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলকে বলা হচ্ছে 'সাব-কন্ট্রাক্টেড ওয়ারফেয়ার'। সামরিক শক্তি হোক বা প্রযুক্তি; নানানভাবেই এই কৌশলের অধীনে কিয়েভকে রুশ বিরোধী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার রসদ যোগাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এর আগে স্পেস এক্স- মহাকাশ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের তার কোম্পানির স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিনামূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু, পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিনামূল্যে নয়–আসলে মার্কিন সরকারই মাস্ককে এর জন্য অর্থ দিচ্ছে।
ইউক্রেনে আমেরিকা তার নিজস্ব সেনাবাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওয়াশিংটন দাবি করেছে, রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘাতে না জড়াতেই এ সিদ্ধান্ত। তবে ফরাসী ম্যাগাজিনটি জানাচ্ছে, ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে অস্ত্র ও বেসরকারি জনশক্তি (ভাড়া করা) সরবরাহ করে আমেরিকা রাশিয়ার সাথে সংঘাতের হুমকিকেই অগ্রাহ্য করছে। যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার শক্তিক্ষয় করে, মস্কোর কৌশলগত পরাজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য থেকেই আমেরিকা এই ঝুঁকি নিচ্ছে।
- সূত্র: আরটি