সপ্তাহে চার দিন কাজই কর্মজীবনের ভবিষ্যৎ: ব্রিটিশ ব্যাংক
ছয় মাস আগে সপ্তাহে চার কর্মদিবস চালু করে যুক্তরাজ্যের অ্যাটম ব্যাংক। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় তারা কর্মীদের মেধাশক্তি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সুফল পাওয়া শুরু করেছে।
মেধাবি কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে উৎসাহিত হয়েছেন। যেমন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাদের কাছে চাকরির আবেদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েছে কর্মীদের থেকে যাওয়ার হার।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় ব্যাংকটি। এতে বলা হয়, বাড়তি ছুটির সুবাদে অসুস্থতাজনিত ছুটিও কমেছে কর্মীদের, উন্নত হয়েছে গ্রাহক সেবার রেটিং।
ইংল্যান্ডের ডারহাম-ভিত্তিক চ্যালেঞ্জার ব্যাংকটি মহামারি পরবর্তী সময়ে চার কার্যদিবস শুরু করে। যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু কোম্পানি এখন কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য অনুসারে চাকরি সুবিধার বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অবশ্য, সংক্ষিপ্ত কর্মসপ্তাহ নিয়ে কারো কারো আপত্তিও রয়েছে। তবে একে কোনো বাধা মনে করছে না অ্যাটম ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকটির প্রধান জনশক্তি কর্মকর্তা, অ্যান্নি মারি লিস্টার বলেন, 'আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সপ্তাহে চারদিন কাজই কর্মজীবনের ভবিষ্যৎ। আশা করি, আমাদের দেখাদেখি অন্য ব্যবসাগুলিও স্থায়ীভাবে এ পরিবর্তন চালু করবে'।
মহামারির প্রকোপ কমার সাথে সাথে উন্নত দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কর্মীদের সরাসরি অফিসে এসে কাজ করার তাগিদ দিচ্ছেন। তবে তারপরও রয়েছে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে চাওয়ার চিরন্তন দাবি। এই প্রেক্ষাপটে নমনীয় রাখা হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মনীতি; ভবিষ্যতেও এটি থাকবে এমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
যেমন গত ১৫ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় লন্ডনের ব্যস্ত অফিসগুলোয় সর্বোচ্চ ফাঁকা রয়েছে কর্মীদের ডেস্ক।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ