পুলিশের সামনেই গুলিতে নিহত সাবেক রাজনীতিক ও তার ভাই, চলছিল টিভি লাইভ
পুলিশের সামনেই রিভলভার ঠেকিয়ে চলল পরপর গুলি। সঙ্গে-সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ভারতের 'মাফিয়া' তথা রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হলো আতিকের ভাই আশরাফেরও।
দেশটির উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল কলেজের কাছে ঘটে যাওয়া সে ভয়ংকর মুহূর্তের পুরোটা সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।
রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শনিবার রাত ১০টা নাগাদ আতিক ও আশরাফকে প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। এই দু'জন দেশটির এক আইনজীবী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।
হাতকড়া পরিয়ে দু'জনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামানো হয়। নামানোর পর আতিকদের ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তারা প্রশ্ন করতে থাকেন। প্রাথমিকভাবে কিছু বলেনি আতিক। তারপর কিছু একটা বলতে শুরু করে।
কয়েকটি শব্দ বলার পরই বাঁ-দিক থেকে আতিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দেয় এক আততায়ী। সঙ্গে-সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আতিক। আরও কয়েকজন গুলি চালাতে শুরু করে। আতিকের ভাই আশরাফকেও লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আতিকের ভাইও। ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে তিনজন (সানি, লাভলেশ এবং অরুণ) গুলি চালিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজনই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থলে ছিল।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, 'আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। এখনই কিছু বলা যাবে না। সেটা তাড়াহুড়ো করা হবে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের এখনও জেরা করিনি আমরা।'
উল্লেখ্য, যেদিন রাতে আতিকদের হত্যা করা হল, সেদিন সকালেই আতিক আহমেদের ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। দু'দিন আগেই (বৃহস্পতিবার) উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিকের ছেলে আসাদ এবং মাকসুদানের ছেলে গুলামের। এরা দু'জনেও প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশের হত্যা মামলায় পলাতক ছিল। এই দুইজনের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল পাঁচ লাখ রুপি। ছেলের মৃত্যুর আগে আতিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে তাকেও এনকাউন্টারের শিকার হতে হবে।