দাম বাড়াতে আবারও তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা রাশিয়া, সৌদি আরবের
বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতে আবারও তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিল সৌদি আরব এবং রাশিয়া।
সোমবার (৩ জুলাই) বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়াচ্ছে। অন্তত আগস্টের শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
শনিবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হওয়া উৎপাদন হ্রাসের এই সিদ্ধান্তটি প্রাথমিকভাবে শুধু জুলাই মাসের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি ও সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্তটির মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার।
এদিকে, একইদিনে রাশিয়াও তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, তার দেশ আগস্টের জন্য স্বেচ্ছায় দৈনিক তেল রপ্তানির পরিমাণ ৫,০০,০০০ (পাঁচ লাখ) ব্যারেল হ্রাস করবে।
ঘোষণার পর গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ০.৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭৬ ডলার হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন বেঞ্চমার্ক ডব্লিউটিআই ০.৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭১ ডলার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুসারে, সৌদি আরবের বাজেট ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যারেল প্রতি অপরিশধিত তেল ৮১ ডলারে বিক্রি করা প্রয়োজন। ২০২২ সালে উদ্বৃত্ত বাজেটের পর দেশটি আবারও বাজেট ঘাটতিতে ফিরে গেছে।
সোমবার সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি অফিসিয়াল সূত্রের বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তটি তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ওপেক প্লাস দেশগুলোর করা সতর্কতামূলক প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে নেওয়া হয়েছে।
জুনের বৈঠকে সৌদি আরব আরও বলেছিল, আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত দেশটি দৈনিক তেলের উৎপাদন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেবে। ওই হিসেবে সোমবারের ঘোষণার পর, এখন সৌদি আরবের মোট তেলের উৎপাদন দৈনিক ৯ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।