বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু: মমতা
বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি লাগাম ছাড়িয়েছে। মশাবাহিত এই রোগ কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে পশ্চিমবঙ্গেও।
এরই মাঝে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, বাংলাদেশ থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। সঙ্গে মমতার 'অসহায়' প্রশ্ন, 'এভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কী করা যায়?'
গতকাল বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গে এলে সীমান্তেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে এখানে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কী করা যায়? কাউকে তো ঢুকতে বারণ করতে পারি না।'
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরসভা আবেদন জানিয়েছিল, যাতে বাংলাদেশ থেকে আগতদের বাধ্যতামূলকভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়। এই মর্মে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। আর গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গেল সেই একই সুর। পুরসভার দাবি ছিল, কেন্দ্রের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলুক রাজ্য। আর গতকাল মমতার বক্তব্যের পর সেই সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বিশেষ করে কলকাতা ও লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মশাবাহিত রোগের দাপট বেড়েছে। এদিকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার পার করে গিয়েছে। মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই আবহে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সরকারের দাবি, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা লোকেরা অনেকেই ডেঙ্গুর বাহক।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে বুধবার সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় স্বাস্থ্য ভবনে। সেই বৈঠকে সব হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, নদীয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।