তরুণরা টিকটকে কাটায় দিনে দুই ঘণ্টার মতো, ফেসবুকে প্রায় তাকায়ই না: গবেষণা
তরুণ মোবাইল ব্যবহারকারীদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, তারা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫২ মিনিট টিকটক দেখে কাটায়। ফেসবুকে সময় কাটায় গড়ে এক মিনিট, স্নেপচ্যাটে ১০ মিনিট এবং ইন্সটাগ্রামে কাটায় ১৬ মিনিট।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, কেবল একটি অ্যাপই টিকটকে কাছাকাছি সময় ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো ইউটিউব (৪০ মিনিট)।
১১-১৭ বছর বয়সীদের নিয়ে এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে কমন সেন্স মিডিয়া। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের সিএস মট চিলড্রেন হসপিটাল এই গবেষণার অনুমোদন দিয়েছে ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ-তরুণীদের মোবাইলে নোটিফিকেশনের একধরনের 'বন্যা' দেখা যায়। গড়ে একজনের কাছে প্রতিদিন প্রায় ২৩৭টি নোটিফিকেশন আসে। দিনে ৫,০০০ নোটিফিকেশন এসেছে এমন একজনকেও পাওয়া গেছে।
অলাভজনক সংগঠন কমন সেন্স মিডিয়া সাধারণত গণমাধ্যম অধ্যয়ন এবং শিশু নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। তরুণরা কীভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, এটা ছিল তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত গবেষণার বিষয়বস্তু।
মোট ২০৩ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। তাদের ডিভাইস ও ব্যবহার করা অ্যাপের তথ্য গবেষণায় ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কয়েকজনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে দিনে ১৬ ঘণ্টাও তারা মোবাইল ও কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে ছিল।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ অ্যাপল তাদের ব্যবহারকারীদের এসব তথ্য শেয়ার করে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ-তুরণীরা বেশিরভাগ সময় সামাজিক মাধ্যমেই কাটায়। নমুনাদের মধ্যে অর্থেকই দিনে গড়ে ১৫৩ মিনিটের (আড়াই ঘণ্টা) বেশি সময় সামাজিক মাধ্যেমে কাটায়। টিকটক, ইউটিউবের পর গেমিং-এর মাধ্যমেও অনেক তরুণ সময় কাটায়।
কমন সেন্স মিডিয়ার এই গবেষণা মতে, তরুণরা মূলত এক্স (সাবেক টুইটার) এর মতো টেক্সটভিত্তিক অ্যাপের চেয়ে টিকটকের মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কারণ এসব অ্যাপে তারা কেবল স্ক্রল করে যায়, বাকি কাজ অ্যালগরিদম করে। (এক্স ব্যবহারের সময়কাল গবেষণায় যাচাই করা হয়নি।)
গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণরা গড়ে চার ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে ৯ শতাংশ শিশু ১০ ঘণ্টারবেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটায়।
তবে সবাই চোখের প্রশান্তির জন্য ব্যবহার করে যায় এমন নয়। অনেকে ভিডিও, গান বা পডকাস্ট ছেড়ে অন্যান্য কাজ করে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ৫৯ শতাংশের ফোন রাত ১২টা থেকে ভোট ৫টা পর্যন্তও চালু থাকে। ঘুমানোর জন্য তারা প্রাকৃতিক শব্দ চালায় অথবা টিকটকে সময় কাটায়।