শ্রীলঙ্কায় চীনের প্রভাব কমাতে কলম্বোতে আদানির বন্দরে ৫৫৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ক্রমেই শ্রীলঙ্কা ও ভারত মহাসাগরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে চীন। এতে উদ্বিগ্ন ভারত। আমেরিকারও নজর রয়েছে এদিকে। এরই মাঝে এবার জানা গেল, কলম্বোতে আদানির তৈরি বন্দরের প্রকল্পে ৫৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করবে করবে আমেরিকা। এই অর্থ ঋণ বাবদ দেওয়া হবে।
আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, কলম্বো বন্দরে একটি গভীর বন্দর টার্মিনাল তৈরি করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পে সাহায্য করবে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি)। উল্লেখ্য, ডিএফসি হলো মার্কিন সরকারের উন্নয়নমূলক আর্থিক সংস্থা। আদানির বক্তব্য, এই বিনিয়োগ কাজের গতিকে বৃদ্ধি করবে এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।
জানা গেছে, এই প্রথম মার্কিন সরকার আদানির কোনো প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করছে। এ প্রসঙ্গে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং সিইও করণ আদানি বলেন, 'এই আর্থি সাহায্যকে আমরা স্বাগত জানাই। এই টার্মিনাল প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান হবে। শ্রীলঙ্কার ব্যবসা-বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করবে এই প্রকল্প।'
ভারত মহাসাগরের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর কলম্বো। এই পরিস্থিতিতে ডিএফসি সিইও স্কট নাথান এ প্রকল্প প্রসঙ্গে বলেন, 'শ্রীলঙ্কা বিশ্বের অন্যতম প্রধান ট্রানজিট হাব। বিশ্বের সমস্ত কনটেইনার জাহাজের মধ্যে ৫০ শতাংশ এর জলসীমার মধ্য দিয়ে চলাচল করে।' প্রসঙ্গত, কলোম্বো বন্দরের পশ্চিম কনটেইনার টার্মিনালে অংশীদারত্ব রয়েছে আদানির।
এদিকে কলম্বোতে একটি টার্মিনাল চীন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরটি এখন চীনের নিয়ন্ত্রণে। হামবানটোটা বন্দরের জন্য শ্রীলঙ্কাকে চীন যে ঋণ দিয়েছিল, তা শোধ করতে ব্যর্থ হয় দেশটির সরকার। এরপরই ৯৯ বছরের লিজে হামবানটোটা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় চীন। এই আবহে আদানিদের প্রকল্পে মার্কিন সহয়াতা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।