দুষ্প্রাপ্য, বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কচ হুইস্কির এক বোতল বিক্রি হলো ২.১ মিলিয়ন পাউন্ডে
দুষ্প্রাপ্য এক বোতল স্কচ হুইস্কি ২ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি গড়েছে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ওয়াইন বা স্পিরিট বিক্রির রেকর্ড। খবর বিবিসির।
স্কচ হুইস্কিগুলোর মধ্যে ম্যাকালান ১৯২৬ সিঙ্গেল মল্ট বিশ্বের সবচেয়ে আকাঙ্খিত হুইস্কিগুলোর মধ্যে একটি। গত শনিবার ফাইন আর্টস কোম্পানি সোথবির নিলামে এটি অনুমানকৃত দামের প্রায় দিগুণ দামে বিক্রি হয়েছে।
নিলামকারী কোম্পানির হুইস্কি বিভাগের প্রধান জনি ফোওলে নিলামের আগে হুইস্কিটির এক ফোঁটার স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। ঐ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেন, "এটি স্বাদে বেশ সমৃদ্ধ। এটিতে প্রচুর শুকনো ফল রয়েছে যেমন আপনি আশা করবেন। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মশলা।"
১৯৮৬ সালে হুইস্কিটি মাত্র ৪০ টি বোতল বাজারে আসে। এর আগে এটি প্রস্তুত হতে প্রায় ৬০ বছর সময় লেগেছিল।
প্রস্তুতকৃত ৪০ টি বোতল প্রথমদিকে বিক্রির জন্য রাখা হয়নি। বরং ম্যাকালানের শীর্ষ ক্লায়েন্টদের জন্য সেগুলো পরিবেশন করা হতো। সেক্ষেত্রে যখনই বছরের পর বছর ধরে এর বোতল নিলাম করা হয়েছে সেখানে অসাধারণ সব দাম পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় অনুরূপ একটি বোতল ২০১৯ সালে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল।
নিলামের বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে ফোওলে বলেন, ম্যাকালান ১৯২৬ হুইস্কিটি এতটাই স্পেশাল যে, সকল নিলামকারী এটিকে বিক্রি করতে চায় এবং সকল সংগ্রাহক এটিকে কিনতে চায়।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবে জানায়, প্রস্তুতকৃত হুইস্কিটির ৪০ টি বোতল ভিন্ন ভিন্ন লেবেল করা হয়েছিল। এরমধ্যে দুইটি বোতলকে কোনো লেবেলই করা হয়নি। আর ১২ টি বোতল লেবেল করা হয়েছিল পপ শিল্পী স্যার পিটার ব্লেকের নামে।
আর ১২ টি বোতল, যার মধ্যে একটি গত শনিবার চড়া দামে বিক্রি হয়েছে, সেগুলো লেবেল করা হয়েছে ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী ভ্যালেরিও আদামির নামে। এরমধ্যে এখনো পর্যন্ত ১২ টি ম্যাকালান আদামির কত বোতল অবশিষ্ট রয়েছে, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
বলা হয় যে, ২০১১ সালে জাপানে ভূমিকম্পে ম্যাকালান আদামির একটি বোতল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আরেকটি বোতল ইতিমধ্যেই পান করা হয়েছে বলে অনুমান করা হয়।