গাজা থেকে সংরক্ষিত ইউনিটের সৈন্য প্রত্যাহার করছে ইসরায়েল
গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল। বিশেষ করে সংরক্ষিত ইউনিটগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
নতুন বছরের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে তেল আবিব। যদিও দেশটি অবশ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলেই বিশ্লেষকেরা অনুমান করছেন।
'বিসলামচ ব্রিগেড' নামে পরিচিত ইসরায়েলের 'দ্য স্কুল ফর ইনফ্যানট্রি কর্প প্রফেশনস এন্ড স্কোয়াড কমান্ডার্স' এর সেনারা ছাউনিতে ফিরে এসেছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা আরও অতিরিক্ত দুইটি সংরক্ষিত ব্রিগেড যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর কথা ভাবছে দেশটি।
সেক্ষেত্রে এই দুই ব্রিগেড ফোর্সে রয়েছে কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার সৈন্য। যুদ্ধের অগ্রগতির উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে উপত্যকাটির থেকে অতিরিক্ত আরও সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে কি-না।
অন্যদিকে লোহিত সাগরে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। এএফপির তথ্যমতে, অঞ্চলটিতে মার্কিন বাহিনীর হামলায় প্রায় ১০ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে গতকাল (রবিবার) সকালে সেন্টকম জানায়, লোহিত সাগরে একটি কন্টেইনার জাহাজের হামলার খবর পেয়ে মার্কিন সৈন্যরা সাড়া দিয়েছিল। সেখানে আক্রমণকারী চারটি হুথি নৌকার মধ্যে তিনটি ডুবিয়ে দিয়েছিল।
এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরুন গতকাল (রবিবার) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানের সাথে ফোনকলে কথা বলেছেন। সেখানে হুথিদের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন থাকায় লোহিত সাগরে গোষ্ঠীটির আক্রমণ প্রতিরোধে তেহরানের দায়িত্ব রয়েছে বলে তিনি মত দেন। কেননা এতে করে নিরীহ জীবন ও বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২১ হাজার ৬৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত আহত হয়েছে অন্তত ৫৬ হাজার ১৬৫ জন মানুষ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আকষ্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বৈশ্বিক চাপের মধ্যেও এ হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।