ভারতের কৃষকদের দিল্লি অভিমুখে যাত্রা: তাদের দাবি কী? সরকার কেন রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে?
ভারতের হাজার হাজার কৃষক তাদের দাবি আদায়ে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাক্টর ও ট্রাকে করে রাজধানী দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন।
তবে কৃষক আন্দোলন প্রতিরোধের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে 'শিক্ষা' নিয়ে প্রস্তুত হয়েই ছিল দেশটির স্থানীয় প্রশাসন।
আন্দোলনে নামা কৃষকদের প্রধান দাবি, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে এবং সব কৃষিঋণ মওকুফ করতে হবে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে 'দিল্লি চলো' যাত্রা শুরু করে আন্দোলনরত কৃষকেরা। শাম্ভু, খানৌরি, টিকরি ও সিঙ্ঘু সীমান্তে বুধবার সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন কৃষকেরা।
তবে এর আগেই রাজধানীতে বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সীমান্তে তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি জানিয়ে দফায় দফায় মাইকিংও করেছে দিল্লি পুলিশ।
যদিও আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কিছুতেই তারা পিছু হটবেন না।
পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সকাল থেকেই সিঙ্ঘু সীমান্তে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ, বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং রাখা হয়েছে রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকল। গাজিপুর সীমান্তে বহুস্তরের ব্যারিকেড তৈরি করেছে পুলিশ।
আম্বালার শাম্ভু সীমান্তে প্রতিবাদী কৃষকরা পুলিশ ও আধাসেনা বাহিনীর সতর্কবার্তা উপেক্ষা করলে, এদিনও তাদের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তারা 'দিল্লি চল' অভিযান শুরু করতেই তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়া হয়।
অন্যদিকে, হরিয়ানার অম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেবাদ ও সিরসা জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবারও একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। সেদিন দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবসার করে পুলিশ।
এদিন দিল্লির সীমান্তবর্তী হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে বাধা দিতে তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছিল।
এই ঘটনা দুই বছর আগে কৃষকদের করা ১৬ মাস ব্যাপী আন্দোলনের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।
কৃষকদের রুখতে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা এবং দিল্লিতে ঢোকার সব প্রবেশপথে কাঁটাতারের বেড়া, কংক্রিটের ব্লক প্রভৃতি দেওয়া হয়েছিল।
বিক্ষোভ ঠেকাতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় দিল্লিকে। বন্ধ করা হয় লালকেল্লা ও দিল্লির দুটি মেট্রো স্টেশন। অন্তত আটটি স্টেশনের একাধিক দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিল্লির প্রতিটি গাড়িতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে পাঞ্জাব থেকে ব্যারিকেড ভেঙে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা কৃষকেরা। পাথর ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
এসময় ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনরত কৃষকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। সিমেন্টের ব্যারিকেড দিয়ে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানও ব্যবহার করা হয়।
পুলিশের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে সেদিনের ফিরে যান কৃষকেরা। তবে যাওয়ার আগে জানিয়ে যান, আগামীকাল ফের আন্দোলনে নামবেন তারা।
এই আন্দোলন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:
কারা অংশ নিয়েছে?
পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সংগঠনগুলো ছাড়াও, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলোও পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা (এসকেএম), কিষান মজদুর মোর্চা (কেএমএম) এবং কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২০০টিরও বেশি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন 'দিল্লি চলো' পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছে।
এসকেএম ২০২০-২০২১ সালের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ওই বিক্ষোভের ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল।
আন্দোলনরত কৃষকদের অভিযোগ, মোদি সরকার কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
কৃষকদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি 'ভারত বন্ধ' (দেশব্যাপী গ্রামীণ ও শিল্প ধর্মঘটের ডাক) পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।
কৃষকদের দাবি কী?
আন্দোলনে নামা কৃষকদের মূল দাবিগুলোর অন্যতম এমএসপিকে আইনের আওতায় আনা, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন, কৃষিঋণ মওকুফ এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার।
তাদের দাবি, যে কোনো ফসলের উৎপাদন খরচের থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি এমএসপি নির্ধারণ করতে হবে।
এমএসপির আইনি বৈধতার ফলে কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন এবং কৃষিকাজ লাভজনক হবে।
বিদ্যুৎখাতের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেও কৃষকরা আন্দোলন করছেন।
বর্তমানে রাজ্য সরকারগুলো কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা ফসল উৎপাদনের খরচ কমাতে সহায়তা করে।
২০২০-২০২১ সালের আন্দোলনে যে কৃষকরা মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সংগঠন সর্বভারতীয় কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান বলেন, 'সংগ্রামের সময় প্রায় ৭৫০ জন শহিদ হয়েছেন।'
তাদের আরেকটি দাবি হলো, ২০২১ সালের অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় কৃষকদের উপর গাড়ি তুলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা।
এছাড়া, ২০২১ সালে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের দাবি করেছে তারা।
কৃষ্ণান বলেন, 'বিতর্কিত তিনটি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে, কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এমনকি সাম্প্রতিক বাজেটেও ফসল কাটার পর বেসরকারিকরণের কথা বলা হয়েছে।'
মোদি সরকার কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু এটি পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এই তিন জেলা দেশটির প্রধান শস্য উৎপাদক। বলা চলে কমিশনের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দীর্ঘদিন ধীরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশটির কৃষকেরা। প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় কৃষক আত্মহত্যা করছে। চরম আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উৎস কমে যাওয়ার কারণেও কৃষি উৎপাদন কমে গেছে।
বিজেপি সরকারের জবাব কী?
সরকারের একটি প্রতিনিধি দল আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
বিজেপি সরকারের একাধিক মন্ত্রী জানিয়েছে, সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'আমরা সবসময়ই শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করতে চেয়েছি। সর্বশেষ বৈঠকে সংগঠনের নেতারা আলোচনা থেকে উঠে গেছেন।আমরা নই। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় সরকার কথা বলতে ইচ্ছুক।'
এছাড়া কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা জানিয়েছেন, সরকার কৃষকের 'পক্ষে'।
বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে আমরা প্রস্তুত। যে আইন নিয়ে কথা হচ্ছে সে বিষয়ে এভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না সেটা সংগঠনগুলির বোঝা দরকার। সমসব পক্ষের কথা শুনে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
সরকারের দমন নীতির সমালোচনা
শম্ভু সীমান্তে হরিয়ানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর ড্রোন ব্যবহার করে টিয়ার গ্যাসের শেল ফেলার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার।
পাঞ্জাবের পাতিয়ালার ডেপুটি কমিশনার শওকত আহমেদ প্যারে আম্বালার ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি লিখে, আম্বালার কাছে শম্ভু সীমান্তে ড্রোন না পাঠানোর কথা বলেছেন।
কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্ভিদ জিনতত্ত্ববিদ এমএসস্বামীনাথনের মেয়ে মধুরা স্বামীনাথন এই দমননীতির কড়া সমালোচনা করেছেন।
ভারতীয় কৃষি বিশেষজ্ঞ দেবিন্দর শর্মা বলেন, কর্তৃপক্ষ দিল্লি ও হরিয়ানার সীমান্ত সুরক্ষিত করায় রাজধানী থেকে কৃষকদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এটি কি প্রকৃত সমাধান কি? আমরা কী কৃষকদের দেশ, রাজধানী বা নীতি প্রণয়ন থেকে দূরে রাখতে পারি?'
বিরোধীদের নিন্দা
ভারতের বিরোধী দলের নেতারাও কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাদের দিল্লি ঢুকতে বাধা দেওয়ায় সরকারের দমন নীতির নিন্দা করেছেন।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বলেছে, দেশের নাগরিক হিসেবে কৃষকদের 'স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার' আছে।
বিজেপীর দমননীতির নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, 'নিজেদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামা কৃষকদের ওপর আক্রমণ করে কীভাবে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে? আমাদের কৃষকদের উপর বিজেপির নির্মম আক্রমণের আমি কঠোর নিন্দা করছি।'
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে, বলেছেন যে তারা নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন করবেন।
এছাড়া, আম আদমি পার্টি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে তারা কৃষকদের পক্ষে।
কী নিয়ে ২০২০-২০২১ সালে বিক্ষোভ হয়েছিল?
কৃষকরা বিজেপি সরকারের পাস করা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।
সেসময় বিতর্কিত এসব কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাস্তা ও রেলপথ অবরোধ করে ভারতের হাজার হাজার কৃষক বিক্ষোভ করে।
মোদি সরকারের দাবি ছিল, নতুন আইনের ফলে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামে চাল ও গমজাতীয় শস্য কেনার পাশাপাশি, কৃষকরা তাদের ফসল বেসরকারি ক্রেতাদের কাছেও বিক্রি করতে পারবে।
তবে এতে আশ্বস্ত হয়নি ভারতের কৃষক সম্প্রদায়।
সেসময় দেশটির খাদ্যমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল পদত্যাগ করেন।
তিনি এই আইনকে 'কৃষক বিরোধী' বলে অভিহিত করেছিলেন।
কৃষকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে ২০২১ সালে বিতর্কিত কৃষি আইনগুলো বাতিল করতে বাধ্য হন মোদি।
২০২২ সালে মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা কৃষক ও রাজ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করবে। যাতে সব কৃষি পণ্যের এমএসপি নিশ্চিত করার উপায় বের করা যায়।
বিজেপি সরকার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ কৃষকদের।
ভারতের নির্বাচনে এই বিক্ষোভের কী প্রভাব পড়বে?
লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হবে।
দেবিন্দর শর্মা বলেন, 'আমরা জানি না এই আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে এবং এর ফলাফল কী হবে।'
তিনি বলেন, 'যদি এটি দীর্ঘায়িত হয় তবে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।'
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের দুই-তৃতীয়াংশের জীবিকা কৃষি। আর দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ আসে কৃষি থেকে। ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ আসে কৃষি থেকে।
অতএব, কৃষকরা একটি উল্লেখযোগ্য ভোট ব্যাংকের মালিক, তাই বিভিন্ন দল তাদের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করে।
কৃষ্ণান বলেন, কৃষক ও শ্রমিক বিরোধী নীতির জন্য বিজেপি বারবার সমালোচিত হচ্ছে।
যদিও কৃষকদের ভোট টানতে মোদি সরকার গত সপ্তাহে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিং এবং ১৯৬০ ও '৭০-এর দশকের কৃষি বিপ্লবের পথিকৃৎ এম এস স্বামীনাথনকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে।