নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সহায়তা বন্ধে আইএমএফকে চিঠি দেবেন ইমরান খান: পিটিআই নেতা
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা আলী জাফর বলেছেন, পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ সহায়তা বন্ধের দাবি করে কারাবন্দি ইমরান খান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে একটি চিঠি পাঠাবেন।
তিনি বলেন, ইমরান খান আজ আইএমএফকে চিঠিটি পাঠাবেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জাফর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য সংস্থার সনদে বলা আছে, 'কোনো দেশে সুশাসন থাকলেই কেবল আইএমএফ সে দেশকে ঋণ দিতে পারবে।'
জাফর দাবি করেন, তাদের সনদের 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত' হলো ঋণগ্রহীতা দেশকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক হতে হবে। যদি গণতন্ত্র না থাকে, তাহলে এসব প্রতিষ্ঠানও ওই দেশগুলোতে কাজ করতে পারবে না। করা উচিতও নয়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু গোটা বিশ্ব দেখেছে কীভাবে দেশের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছে। প্রাক-ভোট কারচুপির কথা যদি বাদও দিই, নির্বাচনপরবর্তী কারচুপিতেও পিটিআইয়ের জয়ী প্রার্থীদের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জাফর বলেন, রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট চুরি হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা না করে বেলআউট প্যাকেজের জন্য আইএমএফের কাছে গেলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সাব-জেল হিসেবে ঘোষিত বানি গালার বাসভবনে বন্দি ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগেও বিরোধী দলে থাকাকালীন পিটিআই আইএমএফ চুক্তিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
২০২২ সালে দলটির প্রাক্তন নেতা শওকত তারিন পিটিআইয়ের খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবের তৎকালীন অর্থমন্ত্রীদের বলেছিলেন, তাদের উচিত 'আইএমএফকে বলা যে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবে না।'
তিনি বলেন, এর পিছনে কারণ হিসেবে দেশে সাম্প্রতিক বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের কথা উল্লেখ করা উচিত।
পাকিস্তান গত বছর আইএমএফের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ঋণ চুক্তি করেছে। এই ঋণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কমিয়েছে। আগামী মাসে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
বর্তমানে আইএমএফের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করা দেশটির নতুন প্রশাসনের প্রধান অগ্রাধিকার।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং তাদের মিত্ররা জোট সরকার গঠনের জন্য একটি চুক্তি করেছে।
এর পরেই পিটিআই এবং অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে।
পিটিআই ফর্ম ৪৭ এর বদলে ফর্ম ৪৫ এর ভিত্তিতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
দলটি বলেছে, ভোটগ্রহণের পর ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং খানের অনুসারী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন, যা পরে জালিয়াতির মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
শিরোনাম পরিবর্তিত
সংক্ষেপিত ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি