পশ্চিম তীরের প্রায় ৩ হাজার একর জমি দখলের অনুমোদন দিল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিপুল পরিমাণ জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ অনুমোদনের ফলে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জায়গা হারাচ্ছে পশ্চিম তীর। ইসরায়েলি দখলদার বিরোধী ওয়াচডগের এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি'র।
ইসরায়েলের অবৈধ বসতি নজরদারি করা সংস্থা 'পিস নাও' গ্রুপ জানায়, ইসরায়েল জুন মাসে জর্ডান উপত্যকার ১২ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার (৩,১৩৮ একর) এলাকাকে নিজেদের 'রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার মতে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার জন্যই এই দখলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ এটিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য 'ভুল পদক্ষেপ' হিসেবে সমালোচনা করেছে।
পশ্চিম তীরকে বৃহত্তর ইসরায়েলের অংশ বলে দাবি করা উগ্র ডানপন্থি নেতা ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই ভূমি দখলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে প্রায় সাত লাখ ইহুদিকে আশ্রয় দিয়ে ১৬০টি বসতি নির্মাণ করেছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে, যদিও ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে।
১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির পর এটিই সবচেয়ে বড় ভূমি দখলের ঘটনা। ইসরায়েলের বেসামরিক প্রশাসন গত মাসের ২৫ তারিখ এই ভূমি দখলের অনুমোদন দেয়, যার ঘোষণা বুধবার আসে।
পিস নাও আরও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মোট ২৩ দশমিক ৭ বর্গ কিলোমিটারকে ইসরায়েল নিজেদের রাষ্ট্রীয় জমি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ভূমি দখলকে সমর্থন করেছেন। তিনি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য ৫,৩০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের এবং পূর্বে অননুমোদিত বসতি ফাঁড়িগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন। স্মোট্রিচ বসতিগুলোর ব্যবস্থাপনা সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে বেসামরিক কর্মকর্তাদের কাছে স্থানান্তরিত করতে এবং এসব বসতিগুলোকে বৈধ করতে চান।